Advertisement

India vs England 2nd ODI: খেলার মাঝে স্টেডিয়াম অন্ধকারে ডুবতেই... 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ'!

ফ্লাডলাইট বিভ্রাট কটকে। বারবাটিতে ছ'টা ফ্লাডলাইট আছে। তার মধ্যে একটা পুরোপুরি নিভে যাওয়ায় ভারতের ইনিংসের মাঝেই বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। ৩০৪ রান তাড়া করতে নেমে, ভারতের রান তখন ৬ ওভারে ৪৮ রান। তখনও কোনও উইকেট হারায়নি টিম ইন্ডিয়া। প্রায়  মিনিট বন্ধ থাকে ম্যাচ। এর মধ্যেই যখন রোহিত ও গিল বেরিয়ে যাচ্ছেন মাঠ থেকে তখনই ডিজে বাজালেন 'ছি ছি ছিরে ননি' গান।

ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে বন্ধ ম্যাচফ্লাডলাইট বিভ্রাটে বন্ধ ম্যাচ
Aajtak Bangla
  • কটক,
  • 09 Feb 2025,
  • अपडेटेड 6:54 PM IST

ফ্লাডলাইট বিভ্রাট কটকে। বারবাটিতে ছ'টা ফ্লাডলাইট আছে। তার মধ্যে একটা পুরোপুরি নিভে যাওয়ায় ভারতের ইনিংসের মাঝেই বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। ৩০৪ রান তাড়া করতে নেমে, ভারতের রান তখন ৬ ওভারে ৪৮ রান। তখনও কোনও উইকেট হারায়নি টিম ইন্ডিয়া। প্রায়  মিনিট বন্ধ থাকে ম্যাচ। এর মধ্যেই যখন রোহিত ও গিল বেরিয়ে যাচ্ছেন মাঠ থেকে তখনই ডিজে বাজালেন 'ছি ছি ছিরে ননি' গান।

তিন দফায় বন্ধ ম্যাচ
বারবার জ্বলেও বন্ধ হয়ে যেতে থাকে ফ্লাডলাইট। ১০ মিনিট পরও আলো ফিরে না আসায় বন্ধ থাকলো ম্যাচ। মাঠে যথেষ্ট আলো থাকায় ম্যাচ চালিয়ে জাইয়ার দাবি জানাতে থাকেন রোহিত শর্মা। আসলে তিনি রবিবার দারুণ ছন্দে ছিলেন। পরপর ব্যর্থতা যখন তাঁকে ঘিরে ধরছে সেই সময় এই ম্যাচে দারুণ শুরু করেন রোহিত। তাই বড় রানের দিকে দ্রুত এগোতে মরিয়া ছিলেন তিনি। তবে দারুণ ছন্দে থাকা ভারতকে আটকাতে কিছুটা ছন্দপতন চেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই কারণে তারা দ্রুত মাঠ ছাড়ে। আম্পায়াররাও কম আলোয় ম্যাচ চালাতে চাননি। কারণ, মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠছে সেই বাতিস্তম্ভের আলো। ফলে খেলা চলতে থাকলে সমস্যা হতে পারে তাই ম্যাচ চালাতে চাননি আম্পায়াররা।

তবে ভাইরাল ছি ছি ননি গান বাজানোর সময় নিয়েই কথা হচ্ছে। ভারতীয় দলের দুই তারকা যখন ড্রেসিংরুমে যাচ্ছেন তখনই চালানো হল এই গান? যদিও ওড়িয়া এই গানের অর্থ একেবারেই ভিন্ন। আসলে কটকের মাঠে দীর্ঘদিন পর ম্যাচ হচ্ছে। সেই কারণেই হয়ত সমস্যা হয়েছে। তবে এতে বিসিসিআই-এর মুখ যে পুড়ল তা বলাই যায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও ফ্লাডলাইট বিভ্রাটে আহত হন রাচিন রবীন্দ্র। 

আরও পড়ুন

'ছিঃ ছিঃ ছিঃ বে ননী' গানের অর্থ কী?
'খন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই। সুনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনুষ চিনলু নাই। ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাছে উঠি গলু। ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারালু। গোটে দিন মিশা যগিদেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু। মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্দ্রা পাছরি দেলু। রে ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ।'
গানটির প্রথম অংশের বাংলা সার হল- ধন সম্পত্তি দেখলে মেয়ে কিন্তু মনটাকে দেখলে না তাকে চিনলে না। সোনা দানাটাই চিনলে কেবল, মানুষটাকে তার ভালবাসাটা চিনলে না। আমার কাছে ধন নেই বলে, আজ তার কাছে চলে যেতে পারলি! ধন সম্পদ হয়ত আছে কিন্তু হৃদয় নেই তার। তুমি বুঝতেও পারলে না! একটা গোটা দিনও অপেক্ষা করতে পারলি না,এতো বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললি। অথচ আমি যখন আমার গ্রাম থেকে ফিরলাম, তুমি কী করে সব ভুলে গেলে? ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।
সারাদিন সামর্থ্যের মধ্যে ছোট ছোট আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতাম। আমি তোমার মা-কে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম, ভালো রাখব। অনেক বার বলেছি, আমার কাছে কেমন ছিলে তুমি অথচ আমি যখন আমার গ্রাম থেকে ফিরলাম, তুমি কী করে সব ভুলে গেলে? এটা লজ্জারে মেয়ে, ছিঃ ছিঃ
তোমার জন্য এত ঋণ, বাড়ি অবধি বাঁধা রাখলাম।শুধু তোমায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে... তুমি যা চেয়েছ সবই করেছি। তোমাকে সব রকম উপহার কিনে দিলাম। রঙিন পাতায় ভালোবাসার স্মৃতি বুনেদিলাম। ঘরেতে আমাদের বিয়ের ডোজ অনুষ্ঠানের জন্য একটি ছাগলও কিনে রাখলাম। অথচ এক লহমায় তুমি আমার সব আশা নষ্ট করে দিলে! ননী, কেন তুমি আমাকে এই বাথা দিলে? কী দোষ ছিল আমার? দারিদ্র? আমি গ্রাম থেকে ফিরে দেখলাম, তুমি সব ভুলে গেছ? তোকে ধিক্কার মেয়ে ধিক্কার.....    

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement