
ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, দলের পারফরম্যান্সই আসল। ভারতীয় দলকে বৃহত্তর স্বার্থের দিকে মন দেওয়ার নির্দেশ হেডকোচ গৌতম গম্ভীরের। Bcci.tv-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ কথাই জানিয়েছেন তিনি।
কোহলি-রোহিতকে কটাক্ষ?
প্রকৃতপক্ষে, অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই সিরিজে আইপিএলের পর রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসেন। তৃতীয় ও ডিআইতে সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয়টিতে ৭৩ রানের জন্য রোহিতকে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয়, যেখানে প্রথম দুটি ম্যাচে টানা শূন্য রানের পরে কোহলি শেষ ওডিআইতে ৭৪ রান করেন। তবে, ভারত সিরিজ হেরে যায়।
যদিও গম্ভীর কোনও খেলোয়াড়ের নাম বলেননি, অথবা প্রশ্নে নির্দিষ্ট কোনও খেলোয়াড়ের কথা উল্লেখ করেননি, তিনি বলেন, 'আমি সবসময় বিশ্বাস করি এটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিষয় নয়। আমি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে খুব খুশি হতে পারি এবং থাকব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যদি আমরা ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাই, তবে এটিই সবচেয়ে বড় বিষয়। একজন কোচ হিসেবে, আমি কখনই সিরিজ হার উদযাপন করতে পারি না।'
গম্ভীর আরও বলেন, 'একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে পারি, কিন্তু একজন কোচ হিসেবে এটা আমার নৈতিক কর্তব্য যে আমরা একটি দেশ হিসেবে, এবং ব্যক্তিগতভাবেও, কখনও সিরিজ হার উদযাপন করব না।'
গৌতম গম্ভীর আর কী বললেন?
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর টিম ইন্ডিয়ার মনোভাব এবং মানসিকতা সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মাঝে, গম্ভীর স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এখন ফলাফলই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অজুহাত নয়। গম্ভীর বলেছেন যে খেলোয়াড়দের চাপের মধ্যে রাখা তাদের শক্তিশালী করে।
ফিটনেস এবং প্রস্তুতির উপর মনোযোগ দিন
গম্ভীর স্বীকার করেছেন যে দলটি তার চাওয়া স্তরে পৌঁছায়নি, তবে তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে আগামী তিন মাসের মধ্যে দলটি শীর্ষে পৌঁছাবে। 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে সময় আছে। ফিটনেস এবং মনোযোগ আমাদের সেই স্তরে নিয়ে যাবে যেখানে আমরা থাকতে চাই।'
গৌতম গম্ভীরের বার্তাটি আবারও স্পষ্ট করে যে ভারতীয় ক্রিকেট এখন আর "সুযোগ" নয়, বরং অর্জনের। তার কোচিং দর্শন স্পষ্ট: শৃঙ্খলা, সততা এবং জয়ের ক্ষুধা টিম ইন্ডিয়াকে ২০২৬ বিশ্বকাপে নিয়ে যাবে।