ICC Women's T20 World Cup 2024: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দল বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলার দিকে কড়া নজর রাখছে, কারণ অক্টোবরে এদেশে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার বলেছেন, ঢাকায় হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করা হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। দেশে গত দুই দিনে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক মানুষ।
আইসিসি বর্তমানে এই ইস্যুতে অপেক্ষা করছে এবং 'ওয়েট অ্যান্ড সি' নীতি গ্রহণ করছে। আইসিসি বোর্ডের একজন সদস্য বলেছেন, 'আইসিসির সব সদস্য দেশে একটি স্বাধীন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তবে টুর্নামেন্ট শুরু হতে সাত সপ্তাহ বাকি আছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্ট স্থানান্তর করা হবে কি না, এখনই মন্তব্য করা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
আইসিসি সূত্রটি বলেছে যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে একই রকম অস্থিরতার পরিস্থিতি ছিল যখন বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতি এবং মুদ্রাস্ফীতির উল্লেখ করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকারী বাসভবনে হামলা চালায়। এই ঘটনার পর, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল জুন মাসে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য সেখানে যায়। সেই উদাহরণ সামনে রেখে তাঁরা আপাতত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপের আসর বসবে ঢাকা ও সিলেটে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) ভারতীয় নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ভ্রমণ না করার জন্য কঠোরভাবে পরামর্শ দিয়েছে। বিসিসিআই এমন পরিস্থিতিতে সবসময় সরকারের পরামর্শ মেনে চলে।
তাই শ্রীলঙ্কায় হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
অনিবার্য পরিস্থিতির জন্য আইসিসির আকস্মিক পরিকল্পনা রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা একটি বিকল্প হতে পারে। শ্রীলঙ্কা সেখানে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ২০১২ সালের পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। SENA দেশগুলি (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া) তাদের মহিলা দলগুলিকে এমন একটি দেশে পাঠায় কি না যেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দুর্বল হতে পারে তা এখন দেখার।