ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল্লিতে অঘটন ঘটিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। রবিবার রশিদ খানরা জিতলেন ৬৯ রানে। টসে জিতে আফগানদের শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। দিল্লির মাঠে প্রচুর রান হয়েছে এবারের বিশ্বকাপে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই হয়ত চেজ করতে চেয়েছিল গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
শুরুতে ব্যাট করে ২৮৫ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। ৯১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। একে একে আউট হতে থাকেন জনি বেয়ারস্টো, ডাউইড মিলান ও জো রুট। হ্যারি ব্রুক ৬১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস না খেললে আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত ইংল্যান্ডকে। জস বাটলারও এদিন রান পাননি। আউট হন মাত্র ৯ রান করে।
শুরু থেকেই ইংরেজ বোলারদের চাপে রাখেন রহমনুল্লা গুরবাজ ও ইব্রাহিম জারদান। ৫৭ বলে ৮০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন গুরবাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটা চার ও চারটে ছক্কা। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর যদিও রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। উইকেটও হারাতে থাকে আফগানিস্তান। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইকরাম আলিখিল। ৬৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে। তিন্টে চার ও দু'টো ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস।
নবীও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। ২২ বলে ২৩ রান করেন রশিদ খান। মুজিব উর রহমান আউট হন মাত্র ১৬ বলে ২৮ রান করে। ২৮৪ রানে শেষ হয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের স্পিনাররা যদি সাফল্য পান তা হলে ধরে নিতেই হবে, দিল্লির মাঠে আফগান স্পিনাররাও আগুন ঝড়াবেন। সেক্ষেত্রে ২৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করা খুব একটা সহজ হবে না গতবারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে। রবিবারের ম্যাচে একাই ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন আদিল রশিদ। ১০ ওভার বল করে তিনই দিয়েছেন ৪২ রান। দু'টি উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড। ৯ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন ও জো রুটও পেয়েছেন একটি করে উইকেট। লিভিংস্টোন ১০ ওভার বল করলেও রুট বল করেছেন মাত্র ৪ ওভার। ১৯ রান দিয়ে উইকেট পেয়েছেন তিনি। আফগান ইনিংসের শেষ উইকেটটি এসেছে টপলের বল থেকে। যদিও এদিন বেশ মার খেয়েছেন টপলে।