বিশ্বকাপের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হত অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে। এমন অবস্থায় খেলতে নেমে লখনউ-এর উইকেটে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। শুরুটাও বেশ ভাল করেছিল লঙ্কানরা। তবে তাদেফ্র ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র রানে।
ওপেনিং জুটিতে ১৩০ বলে ১২৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার পেরেরা ও নিশাঙ্কা দুই জনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। তখন মনে হচ্ছিল সহজেই ৩০০ বা তার বেশি রান করে ফেলবে লঙ্কানরা। তবে এই জুটি ভেঙে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। সেই অর্থে আর কোনও পার্টনারশিপই গড়ে ওঠেনি। নিশাঙ্কা ৬৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। আটটা চার মারেন তিনি। ৮২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন কুশল পেরেরা। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টা চার।
চরিথ আসালাঙ্কা শেষ অবধি কিছুটা লড়াই চালালেও কাজের কাজ হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সম্মানজনক স্কোর করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত ব্যর্থ হলেও এদিন জ্বলে উঠলেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। একাই তুলে নিলেন চারটি উইকেট। মিশেল স্টার্ক প্যাট কামিন্সরাও উইকেট পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতেই পারেননি। ফলে রান ওঠেনি সে ভাবে। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর, দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে একের পর এক ব্যাটার আউট হতে থাকেন।
এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। সেবার ১০০ রানের মধ্যেই গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এমন ব্যাটিং করলে দলের সমস্যা বাড়বে। এখন দেখার এই স্বল্প পুঁজি নিয়েও শ্রীলঙ্কার বোলাররা অজি ব্যাটারদের নাজেহাল করতে পারেন কিনা।