ইডেন গার্ডেনসে রবিবার ভারতীয় দলের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলই দারুণ ছন্দে। তাই এই ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তবে এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানা বিতর্ক। সাধারণ ভক্তরা টিকিট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে সিএবি-র সদস্যদের পক্ষ থেকেও। তবে এক্ষেত্রে সিএবি-র কিছুই করার নেই বলে মনে করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ
অভিযোগ উঠেছে টিকিটের কালোবাজারি হচ্ছে। যদিও এক্ষেত্রে সিএবি বা বিসিসিআই-এর কিছু করার নেই মন্তব্য সৌরভের। রবিবারের ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার ইডেনে এসেছিলেন সৌরভ তিনি বলেন, 'টিকিটের চাহিদা থাকবেই। ভারত ফাইনালে উঠে গেলে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও টিকিটের হাহাকার থাকবে। এখানেও রয়েছে। একবার সিএবি বা বিসিসিআই-এর কাছ থেকে টিকিট বেরিয়ে গেলে কিছুই করার থাকে না। ফুটবল বিশ্বকাপেও আমি টিকিটের কালোবাজারি হতে দেখেছি। ১৭ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি হতে দেখেছি। সবটাই চাহিদার উপর নির্ভর করে।' কালোবাজারির অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক ফ্যান ময়দান থানায় অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
টিকিট পাননি সিএবি সদস্যরাও
টিকিট হাতে পাননি সিএবির অনেক সদস্য। ১২,০০০ সদস্য রয়েছে সিএবি-তে। এতদিন তাঁরা সকলেই সমস্ত ম্যাচ দেখতে পারতেন। তবে এবার আর সেটা হয়নি। তার জেরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। যদিও এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলেই জানিয়েছেন সৌরভ। এবারে সিএবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সিএবি-র ওয়েবসাইটে টিকিট বুক করা যাবে। আগে আসার ভিত্তিতে টিকিট পাওয়া যাবে। তবে অনেকেই অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করলেও পারেননি। তাঁরা সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই টিকিটের ছবি দিয়ে বলছেন, তাদের কাছে টিকিট রয়েছে। অনেক বেশি টাকায় সেই টিকিট তাঁরা বিক্রি করছেন। এর জেরে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। সাধারণ দর্শকরা টিকিট পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রেই বেশি দাম দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে।