অবিশ্বাস্য ম্যাক্সওয়েল। চোট নিয়েও ২০১ রানের এই ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে শুধু সেমিফাইনালের লড়াইতে এগিয়ে দিল তাই নয়, আরও একটু অক্সিজেন দিল বাবর আজমদের সেমিফাইনালের স্বপ্নে।
কেন বাবরদের সুবিধা হল?
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি শেষ চারের লড়াইয়ে ছিল আফগানিস্তানও। এই ম্যাচ হারায় সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেল। তবে শেষ হয়ে গেল তা বলা যাবে না। তবে এই ম্যাচ জিতলে পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে যেত রশিদ খানদের আফগানিস্তান। তাদের শেষ ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এখন বড় ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতলে তবেই সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। নিউজিল্যান্ডের শেষ ম্যাচ আবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। কিউয়িরা বড় ব্যবধানে জিতলে পাকিস্তানকেও ইংল্যান্ডকে তার থেকেও বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। ফলে এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় নিউজিল্যান্ড।
স্কোর ৭ উইকেটে ৯১ হয়ে যায়। প্রথম দিকে নিজেকে একটু রিলাক্স রাখার চেষ্টা করেছিলাম।' মাত্র ৯১ রানে দ্রুত ৭টি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সবাই ভাবতে শুরু করে দেন এবার জিতেই যাবে আফগানিস্তান। তবে সেখান থেকেই দুর্দান্ত দ্বিশতরানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতালেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাও মাত্র ১২৮ বলে ২০১ রান। যার মধ্যে রয়েছে ১০টি ওভার বাউন্ডারি ও ২১টি বাউন্ডারি।
তিনি প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ওডিআই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। ২০১১ সালে মীরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেন ওয়াটসনের ১৮৫ রান ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আগের সর্বোচ্চ রান। ম্যাক্সওয়েল প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ওয়ানডে ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। ওয়ানডেতে রান তাড়া করার সময় আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফখর জামানের ১৯৩ রান। ম্যাক্সওয়েলও প্রথম খেলোয়াড় যিনি ওয়ানডেতে ৩ নম্বরে বা নীচে ব্যাট করার সময় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার্লস কভেন্ট্রির ১৯৪ রান ছিল নন-ওপেনারের আগের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর।