নিউজিল্যান্ডকে রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। ওয়াংখেড়েতে ম্যানচেস্টারের বদলা নিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই ভারতের দখলেই ছিল ম্যাচের স্টিয়ারিং। সেই স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি ছুটিয়েছেন রোহিত শর্মা। পরে সেখান থেকে রান দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বিরাট কোহলি ও শুভমন গিল।
পায়ে টান ধরায় ৭৯ রান করে উঠে যেতে হয় গিলকে। তাতেও ভারতের রান কমেনি। বিরাট এদিন ৫০ তম সেঞ্চুরি করে ফেলেন। সেঞ্চুরি করেছেন শ্রেয়স আইয়ারও। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও সেঞ্চুরি এল শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে। ৭০ বলে ১০৫ রান করে তিনি যখন আউট হলেন তখনও ৪০০ রানের আশা দেখাই যায়। কারণ তিনি আউট হতেই এলেন গিল। যদিও বেশি রান করার আর সুযোগ পাননি। কেএল রাহুল ২০ বলে ৩৯ রান করে নট আউট থাকলেও ভারতের রান ৪০০ পেরোয়নি। ৩৯৭ রানে আটকে যায় ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে নিউজিল্যান্ড। তবে সেমিফাইনালের চাপ আর তার উপর এত রানের বোঝা ছন্নছাড়া করে দেয় কিউয়িদের। ৩৯ রানে ২ ওপেনারকে হারালেও ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেন ড্যারেল মিশেল ও ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন। ৭৩ বলে খেলে ৬৯ রান করে তিনি আউট হতেই ধস শুরু হয় নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং-এ। টম ল্যাথাম ২ বল খেলে কোনও রান করতে না পেরে আউট হন। ড্যারেল মিশেল সাধ্যমত লড়াই চালালেও তিনি আউট হতেই সব শেষ। একে একে সব উইকেটই হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ৩৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন গ্লেন ফিলিপস। ৪৮ ওভার ৫ বলেই শেষ কিউয়িদের ইনিংস।
একাই সাত উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন বাংলার এই পেসার। এর আগে ব্যাটিং-এর সময় যদিও আরও বড় রেকর্ড করে গিয়েছেন বিরাট কোহলি। ওয়াংখেড়েতে ৫০ তম শতরান করলেন সচিনের সামনেই। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টারও।
আগামিকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে জেতা দল ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে ১৯ নভেম্বর।