Advertisement

Icc World Cup 2023: এখনও অপ্রতিরোধ্য দু'দলই, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তাপ

সামনে এসেছে কিছু তথ্য, যা আগে কখনও ঘটেনি, সেরকম কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এই বিশ্বকাপে। এত তথ্যের ভিড়ে আপডেট থাকতে জেনে রাখুন, কাজে দিতে পারে। এবারের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের এমনই পাঁচটি দিক থাকছে আপনাদের জন্য।

এখনও অপ্রতিরোধ্য দু'দলই, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তাপএখনও অপ্রতিরোধ্য দু'দলই, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তাপ
সংগ্রাম সিংহরায়
  • আমেদাবাদ,
  • 20 Oct 2023,
  • अपडेटेड 3:42 PM IST
  • এখনও অপ্রতিরোধ্য দু'দলই
  • ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ
  • ঘিরে চড়ছে উত্তাপ

Icc World Cup 2023 IND Vs NZ: চারে চার। পর পর চারটি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের অভিযান দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে ভারত। প্রথমে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দিয়ে শুরু করে আফগানিস্তান, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান এবং নব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশকে রীতিমতো ছেলেখেলা করে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এই টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় অপরাজিত দল হিসেবে অবিচল রয়েছে রোহিত শর্মার ছেলেরায। এই পরিস্থিতিতে তারা ২২ নভেম্বর মুখোমুখি হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের। আর এখানেই এখন সব নজর আটকে রয়েছে। গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন এটা ফাইনালের আগের ফাইনাল।

অপরাজিত তকমা ঘুচবে কার?

তার কারণ ভারত যদি দ্বিতীয় অপরাজিত দল হিসেবে বিশ্বকাপে নিজেদের জয়রংঙ্কা উড়িয়ে থাকে তাহলে প্রথম অপরাজিত দল হিসেবে অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে কিউইদেরও। এখনও পর্যন্ত দু'দলই চারটি করে ম্যাচ খেলে একটিও ম্যাচ হারেনি। ফলে কেন ফাইনাল বলা হচ্ছে তা এখন জলের মতো পরিষ্কার নিশ্চয়ই। কারণ এই দুই অপরাজিত দল ২২ নভেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে। এক দলের অপরাজিত তকমা ঐদিন ঘুচতে চলেছে এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায়, যদি না প্রকৃতিদেবী কোনও বাদ সাধে।

আরও পড়ুন

যদিও গ্রুপ লিগের ম্যাচ। এই ম্যাচ হারালেও কোনও দলেরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে তেমনটা নয়। হাতে আরও চারটি করে ম্যাচ থাকবে দু'দলেরই। যার মধ্যে অন্তত তিনটি ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালে পৌঁছানো প্রায় পাকা। তবে অপরাজিত থাকার নেশাটা অত্যন্ত চরম। ফলে দু'দলের কেউই চাইবে না ম্যাচ হারতে। পাশাপাশি এই ম্যাচ জিতে থাকলে সেমিফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাবে অনেকটাই। ফলে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দু'দলের মধ্যেই। নিউজিল্যান্ড দলও এই টুর্নামেন্টে আগাগোড়া দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে নিজেদের উঁচু জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, এই মুহূর্তে ভারত এবং নিউজিল্যান্ড দু দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটের নিরিখে শীর্ষে রয়েছেন ব্ল্যাক ক্যাপসেরা। ২২ তারিখের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতলে তারা সেই তকমা ধরে রাখবে। হেরে গেলে ভারত পৌঁছে যাবে শীর্ষে।

আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের শক্ত গাঁট নিউজিল্যান্ড

Advertisement

ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ যতই ভারতের পক্ষে কথা বলুক না কেন, আইসিসি টুর্নামেন্টে বরাবরই ভারতের শক্ত গাঁট হিসেবে উপস্থিত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। সে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমল থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি হয়ে রাহুল দ্রাবিড় কিংবা বিরাট কোহলি থেকে রোহিত শর্মা। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়েই ফাইনালে পৌঁছেছিল। এর পর আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিরাট কোহলির ভারতকে। এবার সামনে রোহিত শর্মার উজ্জীবিত ভারত। সঙ্গে অ্যাডভান্টেজ হোম কন্ডিশন। ফলে গেরো কাটিয়ে ওঠার হাতছানি ভারতীয় দলের কাছে।

ভারতের এগারোতে বদলের ইঙ্গিত

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁকে খেলানো যাবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে নকআউট পর্যায়ের খেলা না হওয়ায় তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করতে পারে থিঙ্কট্যাঙ্ক। তবে কিউইদের বিরুদ্ধে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলাতে পারে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলানো হয়েছিল। তারপর থেকে ভারত তিনটি এশিয়ান দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সেখানে তাঁকে রাখা হয়নি। তবে এশিয়ার বাইরের দলগুলির বিরুদ্ধে অশ্বিনের সাফল্য এবং ভারতীয় পিচে কুলদীপ-জাদেজার পাশাপাশি অশ্বিনকে সামলানো সহজ কাজ হবে না। অন্যদিকে হার্দিক না থাকলে না থাকলে শার্দুল হয়তো আরও একটা ম্যাচ খেলতে পারবেন। এছাড়া খুব একটা বদলের সম্ভাবনা নেই। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ পার হলে ভারত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং রোটেশনের দিকে হাঁটতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে। আপাতত নবমীর রাতকেই মা দুর্গার কৃপায় ভারত এখন এই পাখির চোখ করেছে।

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় সম্ভাব্য দল

রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন) বিরাট কোহলি, শুভমান গিল, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ/ মহম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়া/শার্দুল ঠাকুর।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement