রবিবার ইডেনে অনুষ্ঠিত হতে চলা ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট ব্ল্যাকের অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে ময়দান থানায় ডেকে পাঠানো হল। এর আগেও সিএবিকে চিঠি দিয়ে ডেকেছিল পুলিশ। তবে ই মেলে সিএবি জানিয়ে দেয়, রবিবারের ম্যাচের জন্য তাঁরা ব্যস্ত। সেই জন্য আসতে পারছেন না।
তবে এবার আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্নেহাশিস ময়দান থানায় না গেলে, দ্বিতীয় চিঠি পাঠাবে পুলিশ। শুক্রবার টিকিট বুকিং সংস্থা বুক মাই শো-র প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। বিশ্বকাপের টিকিট ব্ল্যাকের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ময়দান থানা। সেই কারণেই স্নেহাশিসকে তলব করা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্নেহাশিস জানিয়েছেন, 'টিকিটের ব্যাপারটা আমাদের হাতে নেই। গোটাটাই দেখছে বিসিসিআই। তারা বুক মাই শো-কে বরাত দিয়েছে টিকিট বিক্রির জন্য। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।' সদস্যদের টিকিট না পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের যে ক'টা টিকিট সদস্যদের দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছে, সে কটাই আমরা দিয়েছি।'
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯০০ টাকার টিকিট ৮০০০ টাকায় বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন জনকে। পরে আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে মোট ৯৪টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ময়দান এবং এন্টালি, কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।
কলকাতায় ম্যাচের টিকিট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। অভিযোগ ওঠে কালোবাজারির। এই প্রসঙ্গে গতকাল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'টিকিটের চাহিদা থাকবেই। সিএবি-র পক্ষে টিকিটের কালোবাজারি আটকানো সম্ভব নয়। তারা তো আর মহামেডান মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না। এই দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে। ভারত ফাইনালে উঠে গেলে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও টিকিটের হাহাকার থাকবে। এখানেও রয়েছে। একবার সিএবি বা বিসিসিআই-এর কাছ থেকে টিকিট বেরিয়ে গেলে কিছুই করার থাকে না।'