চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে জমে গেল পাকিস্তান বনাম নিউজিল্য়ান্ডের ম্যাচ। টস জিতে বাবর আজম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন।শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বেধড়ক পেটান কেন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্ররা। পাকিস্তানের সামনে ৪০২ রানের বড় লক্ষ্য রাখে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
এরপর ব্যাট করতে নেমে ফখর জামানের দুরন্ত সেঞ্চুরি এবং বাবর আজমের দাঁতচাপা লড়াইয়ে টক্কর ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান। ম্যাচ মোটামুটি গ্রিপে আসতে শুরু করেছে, একটা হাড্ডাহাড্ডি ফিনিশিংয়ের দিকে যাচ্ছিল, তখনই নামে বৃষ্টি। পাকিস্কান ইনিংসের ২১.৩ ওভার হয়েছে। পাকিস্তানের রান সংখ্যা তখন দাঁড়ায় ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২। এরপর মিনিট ৪৫ বন্ধ থাকার পর ফের বৃষ্টি কমতে মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু হয়। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে রিভাইজড টার্গেট তখন দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান। অর্থাৎ বৃষ্টির পর পাকিস্তানকে আরও ১৯.৩ ওভারে ১৮১ রান তুলতে হবে। যদিও বৃষ্টির পরও একইভাবে খেলা শুরু করেছে ফকর ও বাবর। বিশেষ করে বাবর খুলে খেলার চেষ্টা করে। ৪ ওভার খেলার পর ফের বৃষ্টি নামে। পাকিস্তানের রান সংখ্যা দাঁড়ায় ১ উইকেটের বিনিময় ২০০। ফকর তখন ৮১ বলে ১২৬ রানে এবং বাবর ৬৩ বলে ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। এই সময় ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অনুযায়ী পাকিস্তান এগিয়ে ২২ রানে। শেষমেষ আর খেলা গড়ায়নি মাঠে। ফলে পাকিস্তান ওই রানেই জয়ী হয়। ফকর জামানকে দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ জিততেই হবে পাকিস্তানকে। তবে শুধু জিতলে হবে না। বড় ব্যবধানে জিততে হবে। কারণ, নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে 'দুর্বল' শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই ম্যাচ জিতলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে রান রেটের বিচারে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে যাবে। পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া সহজ হবে না। পয়েন্ট টেবিলে শেষে থাকলেও বিদায়ের আগে শেষ কামড় দিতে মরিয়া হবেন বেন স্টোকসরা। ফলে সেই ম্যাচ জেতাই কঠিন হয়ে যেতে পারে বাবরদের।
এদিন শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন কিউয়ি ব্যাটাররা। রাচিন রবীন্দ্র ৯৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। ১৫টা চার একটা ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন। চোট সারিয়ে ফেরার পরেও, দারুণ ছন্দে উইলিয়ামসন। ৭৯ বলে করে ৯৫ রান। ১০টা চার আর ২টো ছক্কা মারেন। শুরুতে পাক বোলাররা উইকেট তুলতে না পারায় বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলে নিউজিল্যান্ড। এদিন পাক বোলাদের লাইন লেংথ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান মহম্মদ ওয়াসিম। ১০ ওভারে ৮২ রান দিয়ে একটা মাত্র উইকেট পান হাসান আলি। হ্যারিস রাউফ তাঁর ১০ ওভারে দেন ৮৫ রান। পেয়েছেন ১ উইকেট। এদিনও উইকেট পাননি শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯০ রান। শেষদিকে মিশেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটিং-এ ৪০০ পার করে নিউজিল্যান্ড।