বেতন পাচ্ছেন না বাবর আজমরা। ম্যাচ ফি বকেয়া। এশিয়া কাপের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে অভিযোগ করেছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সমস্যা এখনও মেটেনি। তাই জার্সি থেকে স্পনসরের লোগো বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বাবররা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ক্রিকেটারদের একাধিক দাবি মেনে নিয়েছে পিসিবি।
সংবাদ মাধ্যমে খবর, গত ৪ মাস ধরে ম্যাচ ফি পাচ্ছেন না পাক ক্রিকেটাররা। তার ফলে ক্রিকেটাররা অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাঁরা বিশ্বকাপের জার্সি থেকে স্পনসরের লোগো খুলে ফেরা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ পৌঁছে গিয়েছে পাক ক্রিকেট দল। তার আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে বকেয়া ম্যাচ ফি নিয়ে অসন্তোষে বেকাদায়দায় পাক ক্রিকেট বোর্ড। কারণ ক্রিকেটের বড় মঞ্চে জার্সি থেকে স্পনসরের লোগো খুলে ফেললে মুখ পুড়বে তাদের। বিশেষ করে আর্থিক সংকটে পড়েছেন জুনিয়র ক্রিকেটাররা। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের দাবি বোর্ড মেনে নিতে চলেছে বলে খবর। তবে ক্রিকেটাররা এখনও অবস্থান বদলের কোনও ইঙ্গিত দেননি।
ইনজামাম উল হকের মধ্যস্থতায় নতুন চুক্তি তৈরি হয়েছে। টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি২০ খেলেন এমন প্রথম সারির ক্রিকেটাররা পাবেন মাসে ৪৫ লক্ষ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা)। কর বাদ দিয়ে ক্রিকেটাররা হাতে পাবেন ২৩ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা)। এই তালিকায় আছেন বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদি এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ান। তার পরের ধাপের ক্রিকেটারেরা পাবেন মাসে ৩০ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা। কর দেওয়ার পর ক্রিকেটারদের বেতন অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে, যা না-পসন্দ বাবরদের।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মাসিক আয় ৯৮০ কোটি পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা)। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, পাকিস্তান সুপার লিগ থেকে আয়, স্পনসরশিপ এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে আয়। সেই লাভের একটা অংশ চাইছেন ক্রিকেটাররা। যা দিতে রাজি হয়েছেন পিসিবি কর্তারা। ক্রিকেটারদের ৩ শতাংশ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড, এমনটাই খবর। যদিও তা এখনও আশ্বাস।