ICC World Cup 2023: আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালের অর্ধেক আপাতত শেষ। বাকি অর্ধেক আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শেষ হবে। কারা হবে চ্যাম্পিয়ন, তা জানা যাবে খুব দ্রুত। তার আগে ফের ঘুরে ফিরে আসছে পিচ নিয়ে বিতর্ক। আর তার মধ্যেই ঘুরে ফিরে আসছে রোহিতের ইনিংস। সঙ্গে বিরাট আর
রোহিতেের ৪৭-ই ডিসাইডার?
৩১ বলে ৪৭ রান। তার ব্যাটিং এর ধরনই। বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন যে, তার ব্যাটিং দেখে কখনওই বোঝা যায় না, পিচ কেমন বা কেমন আচরণ করবে। এই টুর্নামেন্টে আমরা বরাবরই দেখেছি রোহিত শর্মা শুরুতে পাওয়ার-প্লেতে বিস্ফোরক শুরু দিয়ে গিয়েছেন। কমপক্ষে ১০ ওভারে ৮০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে গেছেন দলকে। যার পরে তিনি আউট হয়ে গেলেও ইনিংস বিল্ড আপ করার সুযোগ পেয়েছেন বিরাট কোহলি-শ্রেয়স আইয়ার-কেএল রাহুলরা। ফাইনালেও একই রকম ছবি দেখা গিয়েছে।
পার্থক্য এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে এটি মোটেও ব্যাটিংয়ে ফুলঝুরি ওঠানোর মতো পিচ নয়। যা বোঝা গিয়েছে রোহিতের প্রস্থানের পর। একে একে শ্রেয়স, জাদেজা, সূর্যকুমাররা ফিরে গিয়েছেন অল্প রানে। রোহিত ব্যাট করার সময় যে পিচ মনে হচ্ছিল রানে ভরা, তিনি আউট হতেই বোঝা গিয়েছে পিচের আসল চরিত্র। দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে কামড়ে থেকেও বিরাট-রাহুল দ্রুত ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার থেকে রক্ষা করলেও রান বাড়াতে পারেননি। বিরাট ৫৪ এবং কে এল রাহুল ৬৬ রান করে ইনিংসকে দ্রুত গুটিয়ে যেতে রুখে দিতে শেষমেষ ভারত থেমে যায় ২৪০ রানে। রোহিত-বিরাট-রাহুল ছাড়া দুই অঙ্কের রান করেছেন একমাত্র সূর্য কুমার যাদব। তাও ১৮ রান কোনও রান নয়। কিন্তু এই পিচে এটাও গুরুত্বপূর্ণ।
এখন ম্যাচের যা পরিস্থিতি, বল বনবন করে ঘুরছে না, কিন্তু পিচে পড়ে বল এগোচ্ছে না। মিচেল মার্শের মতো সাধারণ মানের বোলারদের মাঠের বাইরে ফেলতে পারেননি ভারতীয় তারকা ব্যাটাররা। যারা যে কোনও বল যে কোনও জায়গা দিয়ে খেলে দিতে সিদ্ধহস্ত। ফলে এখন প্রথম ইনিংসে শেষে রোহিতের এই ৩১ বলে ৪৭ ডিসাইডার হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বিরাট এবং রাহুলের দাঁত চাপা লড়াই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে।
কমেন্ট্রি প্যানেলে থাকা ইরফান পাঠান, হরভজন সিং, মহম্মদ কাইফরা এই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। পিচ দেখে গতকালই বলা হয়েছিল এই মাঠে জাদেজা এবং কুলদীপ যাদবকে খেলা কঠিন হবে। তবে তার আগে এই ধরনের লো বাউন্স উইকেটে বুমরা এবং শামিকে খেলাটাও অত্যন্ত কঠিন কাজ বলে মনে করা হচ্ছে। এই উইকেটে ২০০ উপরে রান চেজ করাটাও কঠিন কাজ। একমাত্র যদি স্পিনারদের ক্ষেত্রে বল ভিজে যায় তাহলে কিছুটা গ্রিপ করতে অসুবিধা হলেও হতে পারে। তবে ভারতের জয়ের ব্যাপারে পাল্লা এখনও ভারী।
অস্ট্রেলিয়া ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স কী বলেছিলেন?
১৮ নভেম্বর সকালে প্রেস কনফারেন্সে অংশ নেন, যখন কামিন্সকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে পিচ কেমন রয়েছে ?যার ব্যবহার ভারত পাকিস্তান ম্যাচে খেলায় হয়েছিল, তিনি বলেন, এখন অস্ট্রেলিয়া দুপুরে সেখানে ট্রেনিং করেছে। কিন্তু তিনি যে পিচ কেমন ব্যবহার করবে তা বুঝতে পারেননি, না হলে ডিউ ফ্যাক্টরে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য হয়তো আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু যদি ম্যাচ যদি হারতে হয়, তাহলে কিন্তু কামিন্সকে হতাশ হতে হবে।
পিচের ভয়ে আতঙ্কিত কামিন্স
কামিন্স বলেন যে আমি পিচ অত ভালো করে বুঝি না। কিন্তু এটা অত্যন্ত শক্ত বলে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এটা ভালো উইকেট বলে মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় পাকিস্তান এখানে খেলেছিল। অস্ট্রেলিয়া ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ অ্যান্ড্রিউ ম্যাকডোনাল্ড, ট্রাভিস হেড এবং স্টিভ ,স্মিথ কাছ থেকে পিচ দেখতে চেয়েছিলেন। কালো মাটির পিচ স্লো করার জন্য ভারী তোলার চালানো হয় এতে বিপক্ষ দলের কাছে দুই স্পিনার থাকলে টোয়াইলাইটে লাইটে ব্যাট করা মুশকিল হবে।