ডান হাতে চোট পাওয়ায় শেষ টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারছেন না বেন স্টোকস। তবুও ৩ দিনের মধ্যে টেস্ট খেলা নিয়ে মুখ খুলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। শেষ মুহূর্ত অবধি খেলতে চেয়েছিলেন স্টোকস। তবে তা না হওয়ায় হতাশ তিনি। স্টোকস কোনওভাবেই খুশি হতে পারছেন না সূচি নিয়ে।
বল করতে না পারলেও, অন্তত ব্যাটিং-এর জন্য তিনি খেলতে চেয়েছিলেন। বলেন, 'সকালে ট্রেনিংয়ের সময় শুধুমাত্র ব্যাট করার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরে না খেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। খেললে ক্রিকেটজীবনের জন্য বড় ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যেত। আমি নিশ্চিত আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে নিশ্চিত ভাবেই ঝুঁকি নিত না।'
পুরো সিরিজেই স্টোকসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন। সেই একই রকম প্রতিপক্ষকে আক্রমণের পরম্পরা কি থাকবে? ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার স্পষ্ট বলছেন, 'ক্রিকেটে এক জন মানুষ আপনাকে জেতাতে বা হারাতে পারে না। তাই আমার খেলা বা না খেলার উপরে ফলাফল নির্ভর করবে না। আরও দশ জন ক্রিকেটার রয়েছে। তাঁরাও দলকে জেতাতে সমর্থ।'
পুরো সিরিজে তাঁর পরিশ্রমের মাত্রার দিকে তাকালে চোখ কপালে উঠবেই। তিনি বল করেছেন মোট ১৪০ ওভার। ২০১৩-’১৪ সালের অ্যাসেজের পর থেকে যা সর্বাধিক। নিয়েছেন মোট ১৭ উইকেট।
তবে সূচি নিয়েও অসন্তুষ্ট হচ্ছেন স্টোকস। তাঁর কথায়, 'দু’টি টেস্টের মাঝে ব্যবধানে আরও ভারসাম্য আসতে পারত। কোনও কোনও টেস্টের মাঝে ৮-৯ দিনের ব্যবধান, আবার কোনও টেস্ট শুরু হচ্ছে ৩-৪ দিন পরেই। আমার মতে, প্রতিটি টেস্টের মাঝে ধারাবাহিক ভাবে ৪-৫ দিনের ব্যবধান থাকা উচিত ছিল।' তিনি আরও বলেন, 'দু’দলের ক্রিকেটারদের পরিশ্রমের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তাই মাঝে ৪-৫ দিনের ব্যবধান থাকলে পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও সুযোগ পাওয়া যেত।'
পুরো সিরিজ নিয়ে স্টোকসের বলেন, 'শরীরের উপরে প্রত্যেকেরই প্রচুর ধকল হয়েছে। শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক ভাবেও অনেকে ক্লান্ত। কিন্তু পুরো সিরিজেই ক্রিকেটারদের চরিত্র এবং মানসিক কাঠিনন্যের পরীক্ষা নিয়েছে। দুই দলের লড়াই বুঝিয়ে দিয়েছে, এই ফরম্যাট এখনও কতটা জনপ্রিয়।'