এজবাস্টন টেস্টে জয়ের নায়ক যদি কাউকে বাছতে হয় তবে দুই ক্রিকেটারের নাম উঠে আসবেই। একজন ক্যাপ্টেন্স নক খেলে চমকে দিয়েছেন প্রায় সকলকেই। আর একজন নিয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট। জসপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতি টেরই পেতে দিলেন না। কোভিডে হারিয়েছেন বাবা-ভাইকে। আর এবার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ছেন তাঁর বোন। অথচ কাউকে জানতেই দেননি, কতটা সমস্যায় আছেন।
প্রথম ইনিংসে ৪টি আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলা থেকে জাতীয় দলে খেলা পেসার আকাশদীপের বোলিং সবাইকে মুগ্ধ করেছে। অধিনায়ক শুভমন গিল প্রথম ইনিংসে ডবল সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির মতই আকাশদীপের দশ উইকেট এজবাস্টনের মাটিতে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম টেস্ট জয় এনে দিতে সাহায্য করল। ঠিক জায়গায়, ক্রমাগত বোলিং করে গিয়েছেন। আর সেটাই কাজে দিয়েছে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডেকে নেওয়া হল আকাশদীপ-কে। আবেগতাড়িত কণ্ঠে আকাশদীপ জানালেন, তিনি তার এই পারফরম্য়ান্স তার ক্যান্সার আক্রান্ত বোনকে উৎসর্গ করছেন। গত ২ মাস ধরে তার বোন ক্যান্সারে খুব কষ্ট পাচ্ছেন বলে আকাশদীপ জানান। তবে এখন তাঁর অবস্থা ভাল ও স্থিতিশীল বলে ২৮ বছরের তারকা পেসার জানিয়েছেন। ভগবানের কাছে সবাই জানো তার বোনের দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য কামনা করেন, এমন কথাও বলেছেন আকাশদীপ।
জশপ্রীত বুমরার জায়গায় খেলতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন আকাশদীপ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সফল আর্শদীপ সিংকে না নিয়ে, অধিনায়ক শুভমন গিল-কোচ গৌতম গম্বীর আকাশদীপের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। আর সাম্প্রতিক কালে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা বোলিং স্পেলটা এজবাস্টনে করলেন আকাশদীপ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৯ রানে ৬ উইকেটের আগুনে স্পেলে আকাশদীপ আউট করেন বেন ডাকেট, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ, ও ব্রাইডন কার্সেকে। তার মধ্যে ডাকেট, রুটকে বিশ্বমানের বলে বোল্ড করেন। এদিন হ্যারি ব্রুককে এলবি করে দেন। আর প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে ৪ উইকেটের স্পেলে আকাশদীপ আউট করেন বেন ডাকেট, ওলি পোপ, হ্যারি ব্রুক ও ওলি পোপ-কে। ব্রুক-স্মিথের রেকর্ড ৩০৩ রানের পার্টনারশিপটা আকাশদীপই ভেঙেছিলেন।