
ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দারুণ শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। টসে হারলেও, বল হাতে দুরন্ত ভারতের বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দুই ঘন্টায় ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। টি-এর আগেও সেই ধস অব্যহত। টি-র পর বাকি দুই উইকেট নিতে খুব বেশি সময় নেননি ভারতের বোলাররা। ১৫৯ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০০ পেরতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতা টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা দল দ্রুত ভাল শুরু করেছিল, তবুও জসপ্রীত বুমরার ৫ উইকেটে মাত্র ১৫৯ রানে অল আউট হল দক্ষিণ আফ্রিকা। চা বিরতির কিছুক্ষণ আগে, করবিন বোশ ৩ রানে অক্ষর প্যাটেলের হাতে এলবিডব্লিউ হন। এরপর বুমরা, সাইমন হার্মার এবং কেশব মহারাজকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে নেন। বুমরা ২৭ রানে ৫ উইকেট নেন।
টি-এর পরেই অল আউট হবে দক্ষিণ আফ্রিকা?
টি-এর আগেই আট উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বোর্ডে রান মাত্র ১৫৪। লাঞ্চের পর মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে যা পরিস্থিতি তাতে বিরাট সমস্যায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ইনিংসে ভারতের দরকার আর ২ উইকেট। যা দ্রুত তুলে নিতে চাইবে টিম ইন্ডিয়া।
দারুণ বোলিং বুমরার
প্রথম ঘন্টা দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে ছিল, কারণ মার্করাম এবং রিকেলটন দারুণ শুরু করেন। তবে আঘাত দেন বুমরা। তিনি একটা নয় দুই উইকেট তুলে নিয়ে বিরাট ধাক্কা দেন তারকা পেসার। শুধু তাই নয়, তিনি তুলে নেন দুই ওপেনারের উইকেট। পিচ শুরু থেকে একটু নমনীয় বলে মনে হলেও, তা আরও মশলাদার হয়ে ওঠে। অসম বাউন্স এবং গতি ব্যাটিংকে কঠিন করে তোলে। ক্যাপ্টেন টেম্বা বাভুমা কুলদীপের বলে আউট হন। যদিও তারপর থেকে মুল্ডার এবং ডি জোরজি ইনিংস কিছুটা সামাল দেন। আর তার জেরেই ১০০ পেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
স্পিনের উপর ভরসা ভারতের
ভারতীয় দল অনেকটাই নির্ভর করছে স্পিনের উপর। চার স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছে তারা। দলে তিন ব্যাটার ও দুই উইকেট কিপার ব্যাটার। সঙ্গে রয়েছেন দুই পেসার। তাই দ্রুত পিচ ভেঙে গেলে ভারতের সুবিধা হবে। টসে হারার পর, গিল বলেন, 'পিচটা দেখে বেশ ভাল
বলেই মনে হচ্ছে। আশা করছি তৃতীয় দিনের পর পিচ ভাঙবে। তখন বল ঘুরবে। আশা করছি, ব্যাট আর বলের মধ্যে সমান লড়াই চলবে।'
দুই দলে কারা?
ভারতের প্লেয়িং ১১: কেএল রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রিত বুমরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্লেয়িং ১১: এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেল্টন, উয়ান মুন্ডার, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টানস্টারস, কাইল ভেরেইন (উইকেটরক্ষক), সাইমন হার্মার, মার্কো জানসেন, করবিন বোশ এবং কেশব মহারাজ।