
রাঁচির পর রায়পুরেও বিরাট সেঞ্চুরি। আরও বিধ্বংসী ইনিংস। ৯০ বলে করে ফেললেন এবারের শতরান। সব মিলিয়ে ৮৪তম সেঞ্চুরি। আর ওয়ানডেতে ৫৩। গত ম্যাচে সঙ্গে ছিলেন রোহিত। আর এবার সঙ্গী রুতুরাজ গায়কোয়াড। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও, বিরাটের সঙ্গে ব্যাট করে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেললেন রুতুরাজও।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুটা ভালোই করেছিল। রোহিত এবং যশস্বী দুজনেই ভালো ফর্মে ছিলেন। তবে পঞ্চম ওভারে রোহিত শর্মার উইকেট পড়ে যায়। টানা তিনটি চার মেরে ব্যাট করা রোহিত ১৪ রান করেন। দশম ওভারে টিম ইন্ডিয়ার আরেকটি ধাক্কা লাগে যখন যশস্বী জয়সওয়াল ২২ রান করে আউট হন।
সেই সময়ই রুতুরাজকে সঙ্গী করে খেলে যেতে থাকেন বিরাট। একের পর এক দারুণ শট। সাতটা চার আর দুটো ছক্কা। ৯০-এ পৌঁছে যাওয়ার পর, আর বেশি ঝুঁকি নেননি বিরাট। রুতুরাজ রানরেট বাড়াতে গিয়ে আউট হলে ক্রিজে আসেন আরেক ফর্মে থাকা ব্যাটার রাহুল। তিনি বিরাটের সঙ্গে আক্রমণ করতে শুরু করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের।
তাঁর রানের অর্ধেকটাই এসেছে সিঙ্গল বা ডাবলসে। শেষদিকে একটু হলেও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। ১০২ রান করেও তাই হতাশ দেখাল বিরাটকে। হয়ত একেবারে শেষ অবধি ক্রিজে থাকতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেটা হল না।
কোহলি একটি ছক্কা মেরে নিজের খাতা খোলেন। ১০ ওভার পর ভারতের স্কোর ছিল ৬৬-২। ১৬তম ওভারে ভারত ১০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর রুতুরাজ এবং কোহলি অর্ধ শতরান করেন। কোহলি ৪৭ বলে ৫০ করেন। ৩৪তম ওভারে রুতুরাজ মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করেন। এটি তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান। ৮৩ বলে ১০৫ রান করে আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড। তাঁর ইনিংসে ছিল, ১২টা চার ও ২টো ছক্কা।