পার্থের মতো অ্যাডিলেডেও ভারতের টপ অর্ডার যখন ধুঁকতে শুরু করে, তখনই রোহিত শর্মা জ্বলে উঠলেন। প্রথমে ওপেনিং পার্টনার শুভমন গিল হওয়ার পরেই বিরাটও আউট হন একই ওভারে। নিজের ইনিংসের শুরুটাও যে খুব ভাল করতে পেরেছেন রোহিত তেমনটাও বলা যাবে না। তবে সময় নিয়েছেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে না হলেও, দায়িত্ববান ওপেনারের মতো ভারতকে বের করেছেন সমস্যা থেকে।
শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গল, ডাবলস নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বিরাটের ব্যর্থতার দিনে আরেক তারকার হাফ সেঞ্চুরি। ৭৪ বল খেলে ৫০ করেন হিটম্যান। ততক্ষণে চারটে চাড় আর ২টো ছক্কা মেরে ফেলেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। এটা তাঁর কেরিয়ারে ৪৯ তম হাফ সেঞ্চুরি। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে তাঁর জুটি ভাঙতে স্পিনারদের নিয়ে এলেও উইকেট পায়নি অস্ট্রেলিয়া।
টসে ফের হারতে হয়েছে শুভমন গিলকে। ফলে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে টসের সময় গিল বলেন, 'আমরা প্রথমে বোলিং করতে পারতাম, কিন্তু ব্যাটিং করাটা ভালো ছিল। বৃষ্টি হলে সবসময়ই কঠিন। আশা করি, আজ কোনও বাধা আসবে না। আমাদের প্লেয়িং ১১ একই থাকবে।' স্পষ্টতই, টস জেতার পর তাদের অবস্থান নিয়ে তারা দ্বিধাগ্রস্থ বলে মনে হচ্ছিল। এ দিকে, মিচেল মার্শ টস জেতার পরপরই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
এই ম্যাচের জন্য অস্ট্রেলিয়া তাদের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে। জশ ফিলিপ, নাথান এলিস এবং ম্যাথু কুহনেম্যান দলে ছিলেন না। তাদের পরিবর্তে যথাক্রমে অ্যালেক্স ক্যারি, জেভিয়ার বার্টলেট এবং অ্যাডাম জাম্পা একাদশে ফিরেছেন। যদিও এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, এটি ভারতীয় দলের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে হারলে ০-২ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হবে। পার্থে প্রথম ও য়ানডেতে ভারত পরাজিত হয়েছিল।
অ্যাডিলেড ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), ম্যাথু শর্ট, ম্যাথু রেনশ, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), মিচেল ওয়েন, কুপার কনলি, মিচেল স্টার্ক, জেভিয়ার বার্টলেট, জশ হ্যাজেলউড এবং অ্যাডাম জাম্পা।
অ্যাডিলেড ওয়ানডেতে ভারতের প্লেয়িং 11: রোহিত শর্মা, শুভমান গিল (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), নীতীশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, হর্ষিত রানা, আরশদীপ সিং, মহম্মদ সিরাজ।