প্রথম ইনিংসে মেলবোর্ন দেখেছিল ১৯ বছর বয়সী স্যাম কনস্টাসের দাদাগিরি। জসপ্রীত বুমরার বলকে র্যাম্প শটে পাঠিয়েছিলেন বাউন্ডারির বাইরে। ৬০ তানের ইনিংসে মুগ্ধ করেছিলেন ক্রিকেটবিশ্বকে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে জবাব দিলেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার। তুলে নিলেন কনস্টাসের উইকেট। ভারতের ব্যাটিং-এর সময় স্যাম কনস্টাস যেমন মেলবোর্নের গ্যালারিকে তাতাচ্ছিলেন, বুমরাও গর্জন আনলেন গ্যালারিতে। সুপার সান ডে-র প্রথম ঘণ্টাতেই টানটান নাটক।
প্রথম ইনিংসে সিরাজের সঙ্গে বুমরা জুটি বাঁধলেও তা কাজে আসেনি। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে আকাশ দীপকে নিয়ে আসতেই সাফল্য আসে। লাঞ্চের আগেই ভারতীয় দল তুলে নেয় দুই উইকেট। যার মধ্যে ছিল কনস্টাসের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়েছিল অজিরা। লেগ গালিতে যশস্বীকে রেখে বোলিং করছিলেন বুমরা। পরপর অফস্টাম্পের বাইরে বোলিং। হঠাৎই মিডল-লেগে ডেলিভারি। লেগ গালিতে যশস্বীর হাতে বল গেলেও এত দ্রুত হওয়ায় বল হাতে জমাতে পারেননি। মাত্র ২ রানে জীবন পান উসমান খজা।
বুমরা প্রথম ইনিংসের অপমান যে ভলেননি তা বোঝা গেল দ্বিতীয় ইনিংসে। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে বল হিট করে মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দেন স্যাম কন্টাসের। কিছুই বুঝতে পারেননি অজি ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার নায়ক ফেরেন ১৮ বলে ৮ রান করে। এরপরেই গ্যালারিকে তাতিয়ে দেন ভারতের অন্যতম সেরা এই বোলার।
এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দল গুটিয়ে যায় ৪৭৪ রানে। ভারতীয় দল জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৬৯ রানে সব উইকেট হারায়। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া ১০৫ রানের লিড পেয়েছে। ভারতের জবাবের পর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া কতক্ষণ ব্যাট করবে এবং ভারতকে কী টার্গেট দেবে সেটাই দেখার বিষয়।
অস্ট্রেলিয়া বড় টার্গেট দিয়ে ডিক্লেয়ার করে দেবে তা সবাই ধরে নিয়েছিলেন। তবে সেই রান কত? তা নিয়েই চলছিল জল্পনা। তবে বেলা গড়াতেই দেখা গেল, বুমরার তেজের সামনে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে অজিরা। ৫ রানের মধ্যে তারা হারায় ৩ উইকেট। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি ভারত অজিদের অল আউট করতে পারে।