ICC-র অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল ভারত। বেনোনির উইলোমুর পার্কে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ৭৯ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ান দল। সেই সঙ্গে ভারতের ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্নও অধরা রয়ে গেল।
প্রথমে ব্যাট করে ভারতকে ২৫৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল অজিরা। যা তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেশ লড়াই করতে হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ভারতীয় দল ৪৩.৫ ওভারে ১৭৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। ওপেনার আদর্শ সিং ছাড়াও টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে এক সময় ভারতের ১২২ রানে ৮ উইকেট পড়ে যায়। তখন মনে হচ্ছিল ভারতের পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হবে। কিন্তু মুরুগান অভিষেক একটি ভারতকে দেড়শো রানের গণ্ডী পার করে দেয়। ৪২ রান করেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে আদর্শ সিংয়ের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৪৭ রান। এর বাইরে শুধুমাত্র মুশির খানই দুই অঙ্কে পৌঁছন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফাস্ট বোলার মাহালি বেয়ার্ডম্যান ও স্পিনার রাফে ম্যাকমিলান নেন তিনটি করে উইকেট। যেখানে ফাস্ট বোলার ক্যালাম ওয়াইডার দুটি সাফল্য পেয়েছেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন চার্লি অ্যান্ডারসন ও টম স্ট্রেকার।
ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার একসময় ৯৯ রানে তিন উইকেট হারিয়েছিল। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হারজাস সিং এবং রায়ান হিকস মিলে ৬৬ রান যোগ করেন। হিকসকে আউট করেন ফাস্ট বোলার রাজ লিম্বানি। স্পিনার সৌমি পান্ডের শিকার হন হারজাস সিং। রাফে ম্যাকমিলানও বিশেষ কিছু করতে পারেননি এবং তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মুশির খান। এখান থেকে অলিভার পিক ঝড়ো ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৫০ ছাড়িয়ে নিয়ে যান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হারজাস সিং সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন, যার মধ্যে তিনটি চার ও ছক্কা ছিল। অধিনায়ক হিউ ওয়েগবেন ৪৮ রান এবং ওপেনার হ্যারি ডিক্সন ৪২ রান করেন। অলিভার পিকের ৪৬ রান করেন।
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় যুব দল এবার তাদের ষষ্ঠ বিশ্বখেতাবের লক্ষ্যে নামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়াও তিনবার যুব বিশ্বকাপের ট্রফি জিতে মাঠে নামে এবারের ফাইনালে। তারা নিজেদের চতুর্থ ট্রফির খোঁজে লড়াই চালায় এবং সফলও হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অতীতে দু'বার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি জিতেছে ভারত।