লজ্জার হার ভারতের। লর্ডস টেস্টে রানে হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। প্রথম ইনিংসে দুই দলের রান সমান হলেও, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড টেক্কা দিয়ে গেল দ্বিতীয় ইনিংসে। চতুর্থ ইনিংসে যে কোনও পিচেই ব্যাট করা বেশ কঠিন। তার মধ্যে পঞ্চম দিনের পিচে রান করা আরও কঠিন। আর সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল ভারতীয় দল। কোন পাঁচ কারণে হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে?
ফিল্ডে পন্তের অনুপস্থিতি
ভারতীয় দলের বড় ক্ষতি হয়ে যায় চোট পেয়ে ঋষভ পন্ত বাইরে চলে যাওয়ায়। তাঁর জায়গায় ধ্রুব জুরেল উইকেটের পেছনে দাঁড়ালেও, ছিলেন বেশ নড়বড়ে। অনেকক্ষেত্রে বল ধরতে না পারায় প্রচুর বাই রান দিয়ে খেয়ে যায় ভারত। সেই সংখ্যাটা সদুই সেশন মিলিয়ে পৌঁছে যায় ২৫ রানে। যেটা এ ধরণের ম্যাচে তো বটেই, যে কোনও ম্যাচেই বেশ বেশি।
করুণ নায়ার ও নীতীশ রেড্ডির রান না পাওয়া
দুই ক্রিকেটারই বড় রান করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে করুণ নায়ার ৪০ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে যে সময় তিনি আউট হন, সেটা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তখন উইকেট রক্ষা করতে মরিয়া ছিল। সেই সময় মাত্র ১৪ রান করে ফেরেন। অন্যদিকে নীতীশ কুমার রেড্ডি প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে আউট হওয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসেও ১৩ রান করে ফেরেন।
আবার লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতা
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারে পার্থক্য গড়ে দেন ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস। ১৯২ রানের মধ্যে তাঁর ৩২ রান খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারতীয় দলের লোয়ার অর্ডার প্রথম ইনিংসে ভাল খেললেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হয়। রবীন্দ্র জাদেজা ছাড়া কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি।
শেষদিনে আক্রমণ না করা
হাতে ৬ উইকেট। করতে হবে মাত্র ১৩৫ রান। এমন অবস্থায় খেলতে নেমে উইকেট থাকতেই কেন আক্রমণের পথে হাঁটলেন না ভারতের ব্যাটাররা? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ, পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলে দিশা হারিয়ে ফেলতেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। আর তা হলে লাইন লেংথ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা ছিল, জোফ্রা আর্চার, বেন স্টোকসদের। আর সেটা না হওয়ায় চাপ বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড বোলাররা। আর এর জেরেই ভুল করে বসেন ভারতের ব্যাটাররা।
পিচের ব্যবহার
ভারতীয় দল পিচের ব্যবহার সেভাবে করতে পারেনি। বিশেষ করে বোলাররা। স্লোপ ব্যবহার করে যেভাবে ইংল্যান্ড বোলাররা কাজের কাজ করেছেন প্রথম ইনিংসে, সেটা ভারত করতে পারলে, ভারতের লিড বাড়তে পারত। তাতে চাপে পড়ত ইংল্যান্ড। তবে সেটা হয়নি।