এজবাস্টন টেস্টে জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) অনুপস্থিতি বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে আকাশ দীপ (Akash Deep) ও মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) দাপটে ১৮০ রানের লিড পায় ভারত (Team India)। আকাশ দীপ যেমন প্রথম ধাক্কা দেন ইংল্যান্ডকে তেমনই হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথের জুটিও ভাঙেন তিনিই।
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিয়েও পরের টেস্ট খেলা নিয়ে সংশয়
প্রথম ইনিংসেই সব মিলিয়ে তোলেন চার উইকেট। তারপরও আকাশ দীপ জানেন না, পরের টেস্টে খেলবেন কি না। সেই চিন্তা নিয়েই বাংলার পেসার বলছেন, 'এখনও এই টেস্টের দু’দিন বাকি। এই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। তৃতীয় টেস্ট নিয়ে ভাবছি না। আমি শুধু জানি আগামী দুদিন নিজের সবটুকু শক্তি দিতে হবে। তারপর দল সিদ্ধান্ত নেবে, আমি খেলব কি, খেলব না। আমি জানি না পরের টেস্টে খেলব কি না। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। সেটা পরের ম্যাচের একদিন আগে জানা যাবে।'
ব্যর্থ হলেও খেলে যাচ্ছেন প্রসিদ্ধ
তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন বারবার ব্যর্থ হওয়া প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে সরিয়ে আকাশ দীপকে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না? লিডস টেস্টে তবু উইকেট পেয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। হেডিংলেতে প্রথম ইনিংসে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর দিশাহীন শর্ট বল মনোবল বাড়িয়েছে হ্যারি ব্রুকদের। সেই বলের অধিকাংশতেই উইকেট হারানোর ঝুঁকি যেমন ছিল না, তেমনই রান করার সুযোগ ছিল। আর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে বড় জুটি গড়ে তোলেন হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথ। সেই ৩০৩ রানের জুটি ভাঙতে ডাক পড়ে বাংলার পেসারের। সেখানে ফের সফল তিনি।
আরও বড় কথা হল, আকাশ উইকেট নিতেই পরপর বাকি চার উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। একদিকে জেমি স্মিথ অপতাজিত থাকলেও, মাত্র ২০ রানেই বাকি চার উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপরেও তাঁকে সুযোগ দেওয়া না হলে, প্রশ্ন উঠবে ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষপাত নিয়ে। তবে কোচ গৌতম গম্ভীরের থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আকাশ। বলেন, 'গম্ভীর সবসময় ইতিবাচক কথা বলে। আমাকে বলেছে 'তুমি হয়তো জানোই না যে তোমার কী ধরণের দক্ষতা আছে, তোমার হাতে কী প্রতিভা আছে।' একজন ক্রিকেটারের জন্য এই ধরণের অনুপ্রেরণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি বলতে, মাঝে মাঝে আমরা নিজেদেরও সঠিকভাবে বুঝতে পারি না। কিন্তু যখন এত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কেউ আমার সম্পর্কে এরকম কিছু বলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।'