আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এ টিম ইন্ডিয়া দারুণ ছন্দে। টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দোরগোড়ায় টিম ইন্ডিয়া। রবিবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় দল। লখনউয়ের একনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে ভারতীয় দলে বদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্লেয়িং ইলেভেনে হতে পারে এই বড় পরিবর্তন
এই ম্যাচে ভারতীয় দলে ফিরতে পারেন অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিন খেলার ক্ষেত্রে ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজকে বসতে হতে পারে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শামি পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যার কারণে প্লেয়িং-111-এ তাঁর জায়গা নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে। বুমরা এবং শামি এই ম্যাচে মূল দুই পেসার হবেন। অন্যদিকে কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন স্পিন বিভাগের দায়িত্ব নেবেন। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখিয়েছেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা।
ভারতকে দুর্দান্ত শুরু দিয়েছেন রোহিত ও শুভমন গিল। অন্যদিকে বিরাট কোহলিও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। কেএল রাহুলের পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে ছয় নম্বরে আসতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হওয়ার পর ভাল ইনিংস খেলতে মরিয়া হয়ে উঠবেন তিনি। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রেয়াস আইয়ার যেভাবে আউট হয়েছিলেন, শর্ট-পিচ বলের বিপক্ষে তাঁর দুর্বলতা আবারও আলোচনায় এসেছে। তিনি ব্যাট হাতে সমালোচকদের জবাব দিতে চান। ডেঙ্গির কারণে প্রথম দুই ম্যাচের বাইরে থাকা শুভমান গিল থেকেও একটি বড় ইনিংস অপেক্ষা করছে।
ভারত কি ২০ বছর পর জিততে পারবে?
বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কখনোই একতরফা হয়নি। ইতিহাসে দেখা যায় বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের এখনও ভালো পরিসংখ্যান রয়েছে। ৮টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৩টি, ইংল্যান্ড জিতেছে ৪টি এবং ১টি ম্যাচ টাই হয়েছে। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের শেষ জয় ছিল ২০০৩ সালে। ২০১১ বিশ্বকাপে, উভয়ের মধ্যে ম্যাচটি টাই হয়েছিল, যেখানে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া ৩১ রানে হেরেছিল।
ভারতের সম্ভাব্য প্লেয়িং 11: রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা আর. অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি।