ওভালে ভারতের অবিশ্বাস্য জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারতীয় দল। আর এই জয়ের পর, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিরাজ ও কৃষ্ণের জুটির বোলিং-এর উপর ভর করে ভারত সিরিজে সমতা ফেরাল। ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরের আগে থেকেই সৌরভ আশাবাদী ছিলেন। এই সিরিজে ভারত ভাল ফল করবে। তবে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির না থাকায় এই সিরিজ বেশ কঠিন ছিল।
কী বলেছেন সৌরভ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতোয় দলের তারকাদের ভূয়সী প্রসংসা করেন ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন, 'টিম ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অসাধারণ। টেস্ট ক্রিকেট, এখন পর্যন্ত সেরা ফর্ম্যাট.. দুর্দান্ত শুভমান গিলের নেতৃত্বে সকল সদস্য এবং কোচদের অভিনন্দন.. সিরাজ কখনও এই দলকে বিশ্বের কোনও প্রান্তে হতাশ করেনি.. দেখার মতো দারুন অভিজ্ঞতা। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রসিদ্ধ, আকাশদীপ, জয়সওয়াল।'
ভারতীয় দল শেষদিন যখন খেলতে নেমেছিলেন, তখন হাতে ছিল মাত্র ৩৫ রান। অন্যদিকে চার উইকেট ফেলতে হত ভারতীয় দলকে। শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়িয়েছেন শুভমন গিলরা। সেই চাপের ফলও পেতে শুরু করে ভারতীয় দল। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন জেমি স্মিথ। উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। এর দুই ওভার পর ফের ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। আউট হন জেমি ওভারটন। ফের উইকেট সিরাজের।
শেষদিনে যা হল
এরপর তিন ওভার অপেক্ষা করতে হয়ে ভারতীয় দলকে অষ্টম উইকেট পেতে। জস টাংকে আউট করেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ব্লক হোলে ফেলা বল খেলতে পারেননি টাং। তাঁর উইকেট পড়ার পরেই ভারতীয় দল জেতার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এরপর ভাঙা কাঁধ নিয়েই ব্যাট করতে নামেন ক্রিস ওকস। দেশের জন্য তাঁর এই অবদান ভুলতে পারবেন না কোনও ক্রিকেটপ্রেমী। শেষ অবধি তাঁকে একটাও বল খেলতে হয়নি। কিন্তু অপরদিকে গুস অ্যাটকিনসন বাউন্ডারি মেরে খেলার গতি ফের বদলে দিতে চেষ্টা করতে থাকেন। তবে চাপের মধ্যেও পরিকল্পনা থেকে সরে আসেননি ভারতের দুই বোলার। একই জায়গায় বল করে যেতে থাকেন। ব্যাট ঘোরালেও রান পাচ্ছিলেন না ইংল্যান্ড বোলার। একদিকে ক্রিস ওকসকে রক্ষা করা, আর অন্যদিকে, বড় শট মেরে রান করা, এই দুই চাপের মাঝে দিশেহারা লাগছিল তাঁকে। তবুও তিনি ব্যাট চালাতে থাকেন। শেষ অবধি ৮৫ ওভারের প্রথম বলেই, বোল্ড হন অ্যাটকিনসন।