
১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড একদিনের সিরিজ। শোনা যাচ্ছে সেই সিরিজে ঋষভ পন্তের জায়গায় খেলতে দেখা যেতে পারে ইশাণ কিষাণকে। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত? আসলে ইশাণকে টি২০ বিশ্বকাপের দলে নেওয়া হয়েছে। সে কারণেই তাঁকে খেলিয়ে কিছুটা ম্যাচ ফিট করানোর চেষ্টা করা হতে পারে। যদিও এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর এখনও পড়েনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বিস্ফোরক পারফর্মেন্সের জন্য কিষাণকে একজন প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক কিষাণ তার দলকে প্রথম সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি (SMAT) জয় এনে দেন এবং ৫১৭ রান করে টুর্নামেন্টের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হিসেবে শেষ করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি ছক্কাও মারেন। শুভমান গিলের পর মিডল অর্ডারে রানের অভাব এবং রিঙ্কু সিংকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনার ভারতের আকাঙ্ক্ষা টি-টোয়েন্টি সেটআপে কিষাণের পথ প্রশস্ত করেছে।
কেন পান্তকে ওয়ানডে থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয়?
ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে পুরোপুরি প্রযোজ্য নয়। বিজয় হাজারে ট্রফিতে (VHT) কর্ণাটকের বিপক্ষে ঈশান কিষাণের ৩৩ বলে করা সেঞ্চুরি উপেক্ষা করার জন্য নয়, বরং, সিদ্ধান্তটি সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের চেয়ে তাড়াহুড়ো করে করা বলে মনে হচ্ছে। আগরকরের নির্বাচন কমিটি টি-টোয়েন্টিতে শুভমান গিলকে বাদ দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু ও য়ানডেতে কিষাণের অন্তর্ভুক্তি জোরপূর্বক পরিবর্তন বলে মনে হচ্ছে।
৩ বছরে মাত্র একটি ওয়ানডে
পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, গত তিন বছরে পান্ত মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্ট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার খুব বেশি সুযোগ পান না তিনি। এর ফলে প্রশ্ন ওঠে: তাকে বাদ দেওয়ার ভিত্তি কী? এই বছরের শুরুতে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ওডিআই সিরিজ জুড়ে পান্ত বেঞ্চেই ছিলেন। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি একটিও ম্যাচ খেলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ওডিআই সিরিজেও একই পরিস্থিতি ছিল, যেখানে কেএল রাহুল অধিনায়ক ছিলেন।
ঋষভ পান্ত বনাম ইশাণ কিষাণ ওডিআই রেকর্ড
ঋষভ পান্ত তাঁর কেরিয়ারে এখন পর্যন্ত ৩১ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে মোট ৮৭১ রান করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি একটি শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান করেছেন। তাঁর গড় ৩৩-এর উপরে। এদিকে, ঈশান কিষাণ ২৭টি ম্যাচে ৯৩৩ রান করেছেন, যার মধ্যে একটি দ্বিশতরান এবং সাতটি অর্ধশতরান রয়েছে। অতএব, পরিসংখ্যানে কিষাণেরই শীর্ষস্থান রয়েছে। তবে দলে পান্তের ভূমিকা ছিল একজন ফিনিশারের। তিনি পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি। অতএব, তাকে কদিনের আন্তর্জাতিক দল থেকে বাদ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।