
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেও টসে হার। সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ২০টা ম্যাচে টসে হারল ভারত। রায়পুরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ছন্দে ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য। ফের সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। রুতুরাজ গায়কোয়াডও পেলেন ১০০। কেরিয়ারে প্রথমবার। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও, বিরাটের সঙ্গে ব্যাট করে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেললেন রুতুরাজও।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুটা ভালোই করেছিল। রোহিত এবং যশস্বী দুজনেই ভালো ফর্মে ছিলেন। তবে পঞ্চম ওভারে রোহিত শর্মার উইকেট পড়ে যায়। টানা তিনটি চার মেরে ব্যাট করা রোহিত ১৪ রান করেন। দশম ওভারে টিম ইন্ডিয়ার আরেকটি ধাক্কা লাগে যখন যশস্বী জয়সওয়াল ২২ রান করে আউট হন।
সেই সময়ই রুতুরাজকে সঙ্গী করে খেলে যেতে থাকেন বিরাট। একের পর এক দারুণ শট। সাতটা চার আর দুটো ছক্কা। ৯০-এ পৌঁছে যাওয়ার পর, আর বেশি ঝুঁকি নেননি বিরাট। রুতুরাজ রানরেট বাড়াতে গিয়ে আউট হলে ক্রিজে আসেন আরেক ফর্মে থাকা ব্যাটার রাহুল। তিনি বিরাটের সঙ্গে আক্রমণ করতে শুরু করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। বিরাট ১০২ রান করে আউট হলে ক্রিজে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর। রান আউট হন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজা কিছুটা ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
২৩ বলে ৫০ করেন রাহুল। ৫টা চার ও ১টা ছক্কা মারেন তিনি। ভারতের রান ৩৫৮ পৌঁছানোর পেছনে বড় ভূমিকা রাহুলের। অপরাজিত থাকলেন ৪৪ বলে ৬৬ রান করে। ছ'টা চার আর ২টো ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং এবং প্রথম দিকের অনিয়ন্ত্রিত বোলিং একটা বড় কারণ ভারতের বড় রানের ক্ষেত্রে। নান্দ্রে বার্গারের চোট তাদের সমস্যা আরও বাড়ায়।
রায়পুর ওডিআইয়ের জন্য ভারতের প্লেয়িং ১১: যশস্বী জয়সওয়াল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রুতুরাজ গায়কওয়াড়, ওয়াশিংটন সুন্দর, কেএল রাহুল (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, হর্ষিত রানা, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
দক্ষিণ আফ্রিকা (খেলোয়াড় একাদশ): কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ম্যাথু ব্রিটজকে, টনি ডি জিওর্জি, ডেওয়াল্ড ব্রুইস, মার্কো জ্যানসেন, করবিন বোশ, কেশব মহারাজ, নন্দ্রে বার্গার, লুঙ্গি এনগিডি।