টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। তবে ভারতের সমালোচনা করছে ছাড়ছে না তারা। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক এবার বল বিকৃত করার অভিযোগ আনলেন ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, বল বিকৃত করার কারণেই ভারতীয় বোলাররা রিভার্স সুইং করতে পারছে। পাকিস্তানের এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন ইনজামাম।
ইনজামামের মতে, ভারতের বোলাররা রিভার্স সুইং নিশ্চিত করতে বল বিকৃত করছে। এতে ম্যাচ অনেকটা তাদের পক্ষে চলে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, আরশদীপ এবং জসপ্রিত বুমরার মতো ভারতের তারকা বোলাররা ভালো পাররম্যান্স করছে। তা কখনও কখনও ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ইনজামামের সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের দিকে অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক সেলিম মালিক। ২৪ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সুপার এইটের ম্যাচে আরশদীপের রিভার্স সুইং ডেলিভারির প্রসঙ্গ টানেন সেলিম মালিক। দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের দাবি, ১৪ বা ১৫ তম ওভারে একজন পেসারের পক্ষে বল রিভার্স করানোটা কার্যত অসম্ভব। কারণ, অত তাড়াতাড়ি রিভার্স সুইম করানো যায় না। ওই দুই ক্রিকেটারের দাবি, রিভার্স সুইং যেহেতু বল পুরোনো হলে তবেই করানো সম্ভব সেই কারণে অত তাড়াতাড়ি কীভাবে করতে পারছেন অরশদীপ বা বুমরা?
ইনজামাম বলেন, 'আরশদীপ সিং ১৫ তম ওভারে যখন বল করছিলেন তখনই রিভার্স সুইং হচ্ছিল। নতুন বলে কিভাবে তা সম্ভব? অর্থাৎ এখান থেকেই বোঝা যায়,১২ বা ১৩ তম ওভারের মধ্যে বলটি রিভার্স সুইংয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল। আম্পায়ারদের উচিত তাদের চোখ খোলা রাখা। ভালোভাবে নজর রাখা। ভারতের পরিবর্তে যদি পাকিস্তানি বোলাররা এমন করত তাহলে অনেকের সমস্যা হত। আমরা খুব ভালোভাবে জানি, রিভার্স সুইং কীভাবে হয়। আরশদীপ যেহেতু ১৫ তম ওভারেই রিভার্স সুইং করতে পারছিল সেহেতু মনে হয়েছে, বল নিয়ে নিশ্চয় কোনওকিছু করা হয়েছে আগে থেকেই।'
ইনজামাম উল হককে সমর্থন করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সেলিম মালিক। তিনি আরও যোগ করে বলেন, 'ইঞ্জি আমি সবসময় বলি কোনও কোনও দলের কথা এলে চোখ বন্ধ করে রাখা হয়। ভারত সেই দলগুলির মধ্যে একটি। আমার মনে আছে, জিম্বাবোয়েতে যখন ওয়াসিম বোলিং করছিল, তখন বলের একটা দিক ভিজে গেছিল। আমরা সবাই এটা নিয়ে আম্পায়ারকে বলি। অথচ আমাকেই জরিমানা করা হয়।'
এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। হাসান রাজা দাবি করেছিলেন, ভারত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বলের ভিতরে চিপ ব্যবহার করেছিল। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল মহম্মদ শামি।