আইপিএল-এর প্লে অফের ম্যাচ কোথায় হবে তা এখনও জানায়নি বিসিসিআই। তবে এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইডেন থেকে ফাইনাল ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হবে। এই ম্যাচ হতে পারে আমেদাবাদে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর মধ্যেই, ইডেনের সামনে বঞ্চনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন তারা।
যদিও বঞ্চনার অভিযোগ মানতে নারাজ সিএবি। সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'অবশ্যই এটা ঠিক, কলকাতা থেকে ম্যাচ সরানোর কোনও যুক্তি নেই। তবে এটাকে বঞ্চনা বলব না। কারণ, এর আগে টি২০ বিশ্বকাপের সময় আমরা বিসিসিআই-এর সাহায্য পেয়েছি। পাশাপাশি রামনবমীর দিন ম্যাচটা গুয়াহাটি সরে যেতে পারত, সেটা রিশিডিউল হয়েছে। বিসিসিআই-এর থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি।'
সরকারি ঘোষণা না হওয়ায়, এখনই হতাশ হতে নারাজ স্নেহাশিস। তিনি বলেন, 'আইপিএল ফাইনাল তো রোজ হয় না, ১২ বছর পর হচ্ছে ফাইনাল করার সুযোগ পেয়েছি। এর আগে ওপেনিংটাও আমরা দারুণভাবে করেছি। হয়ত শেষ অবধি দেখবেন, আইপিএল ফাইনাল এখানেই হচ্ছে।'
সিএবি’র তরফ থেকে এর আগেই বোর্ডকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ জুন ইডেন আইপিএল ফাইনাল আয়োজন করতে সব রকম ভাবে তৈরি। সেদিন শহরে কতটা কী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, সেই সমস্ত তথ্য দিয়ে লেখা হল যে, শহরে সেদিন যদি অল্প-বিস্তর বৃষ্টিও হয়, তা হলেও ইডেন গার্ডেন্সের কাছে বন্দোবস্ত রয়েছে পুরো ফাইনাল আয়োজন করার। তবে সেই চিঠির উত্তর এখনও আসেনি বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে।
এর মধ্যেই বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্নেহাশিস। সিএবি কর্তা জানা, 'বিসিসিআই কর্তাদের বক্তব্য, ৩ জুন কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেই কারণেই এখান থেকে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেখুন বৃষ্টির সম্ভাবনা এই সময় প্রায় গোটা দেশেই রয়েছে। ২৭ মে কেরলে প্রথম বর্ষা আসছে। ১৫ দিন পর কলকাতায় বর্ষা আসে।'
গত মরসুমের বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগের উদাহরণও টেনে আনেন স্নেহাশিস। বলেন, ' গত বছর, ১১ জুন থেকে বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগ চালু করেছিলাম। ২৮ জুন অবধি চলে এই টুর্নামেন্ট। একটা মাত্র ম্যাচ খেলা হয়নি বৃষ্টির জন্য। প্রায় ৬৩টা ম্যাচের মধ্যে আর কোনও ম্যাচ এমন হয়নি।'
বাংলা ক্রিকেটমহলের কেউ কেউ বললেন, গ্রাউন্ড কভার থেকে শুরু করে ইডেনে যে উন্নত মানের সুপার সপার রয়েছে, তাতে অঝোর বৃষ্টি হলেও খেলা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যে শুরু করে দেওয়া সম্ভব। ভারতবর্ষের যে কোনও মাঠের তুলনায় ইডেনের নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই উন্নত। সাধারণ সমর্থকদেরও সেটাই বক্তব্য।