গুজরাত টাইটানস মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয় পেল। দারুণ বোলিং প্রশিদ্ধ কৃষ্ণের। চার ওভারে নিয়েছেন ২ উইকেট। মহম্মদ সিরাজও ২ টো উইকেট নেন। এই দুই বোলারের পাশাপাশি, স্পিনাররাও আটকে রাখেন তিলকদের। আর তার আগে সাই সুদর্শনের ৬৩ রান, জস বাটলারের ৩৯ রানে ভর করে ১৯৬ রান করে। ৩৬ রানে জয় পেল গুজরাত।
এই মরসুমে দুই দলেরই শুরুটা ভালো হয়নি। গুজরাত টাইটান্স তাদের প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) বিপক্ষে ১১ রানে হেরেছে। অন্যদিকে, পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) কাছে ৪ উইকেটে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই ম্যাচ সম্পর্কিত আপডেটের জন্য এই পৃষ্ঠাটি রিফ্রেশ করতে থাকুন...
দারুণ শুরু গুজরাতের
গুজরাত টাইটান্সের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। অধিনায়ক শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন মুম্বই বোলারদের তুলোধোনা করেন। পাওয়ার প্লেতে অর্থাৎ প্রথম ৬ ওভারে গুজরাত ৬৬ রান করে। মুম্বই তাদের প্রথম সাফল্য পায় অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার মাধ্যমে, যিনি গুজরাতের অধিনায়ক শুভমান গিলকে আউট করেছিলেন। শুভমান ২৭ বলে ৩৮ রান করেন, যার মধ্যে ছিল চারটি চার এবং একটি ছক্কা। শুভমান এবং সুদর্শনের মধ্যে প্রথম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ওঠে।
দলে হার্দিক
এই ম্যাচের জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্লেয়িং-১১-এ ফিরেছেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নিষেধাজ্ঞার কারণে পান্ডিয়া প্রথম ম্যাচের বাইরে ছিলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের প্লেয়িং-১১-এ বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে রায়ান রিকেলটন, মুজিব উর রহমান, মিচেল স্যান্টনার এবং ট্রেন্ট বোল্টকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গুজরাত দল তাদের প্লেয়িং-১১-তে চারজন বিদেশী খেলোয়াড়কেও জায়গা দিয়েছে। এর মধ্যে জস বাটলার, শেরফেন রাদারফোর্ড, রশিদ খান এবং কাগিসো রাবাদার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গুজরাত টাইটান্সের একাদশ: শুভমান গিল (অধিনায়ক), সাই সুদর্শন, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), শেরফেন রাদারফোর্ড, শাহরুখ খান, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, আর, সাই কিশোর, কাগিসো রাবাদা, মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের একাদশ: রোহিত শর্মা, রায়ান রিকেলটন (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, নমন ধীর, মিচেল স্যান্টনার, দীপক চাহার, ট্রেন্ট বোল্ট, মুজিব উর রহমান, সত্যনারায়ণ রাজু।