মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে লখনউ সুপার জায়েন্ট। ইডেন গার্ডেন্সের পিচ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। মঙ্গলবারের ম্যাচে ইডেনের পিচ কেমন হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন নাইট সমর্থকদের সামনে। একই প্রশ্ন লখনউ সুপার জায়েন্টের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও। এই ম্যাচের আগে লখনউ ক্যাপ্টেন ঋষভ পান্তরাও চিন্তায় পিচ নিয়ে।
আগামী ম্যাচের পিচটাও ভাল করে দেখলেন ঋষভ। তার পরে রবি বিষ্ণোই ও দিগেশ রাঠির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এই পিচে যে বল ঘুরতে পারে, সেই বার্তাই কি পৌঁছে দিলেন? সি ভি বরুণও বেশ কিছুক্ষণ পিচ দেখেন। সূত্রের খবর, কেকেআরের আবদার অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে লখনউ ম্যাচের পিচ।
শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যে রকম পিচ ছিল, তার চেয়ে বাউন্স কিছুটা বেশি থাকতে পারে নতুন পিচে। কিন্তু স্পিনাররা যথেষ্ট সাহায্য পাবেন। স্পিনের পাশাপাশি বল বাউন্সও করবে। শনিবার বিকেলে পিচে শেষ বার জল দেওয়া হয়। সেই জল শুকোতে রবিবার পিচের আচ্ছাদন তুলে দেওয়া হয়। সারা দিন ধরে রোদ পেয়ে পিচ শুষ্ক। এই বাইশ গজ কাদের সাহায্য করে সেটাই দেখার।
দাবদাহের মাঝে কিছু মুহূর্ত তাপমাত্রা কমিয়ে দিল দু'দলের মাঝে। কেকেআর ও লখনউ ক্রিকেটাররা যে মঙ্গলবার একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন, বোঝার কোনও উপায় ছিল না। সুনীল নারিনকে শেষ কবে হাসতে হাসতে মাঠে শুয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে, তা হয়তো আন্দ্রে রাসেলও মনে করতে পারবেন না। কিন্তু এ দিন ইডেনে ঋষভ পান্তের সঙ্গে মস্করার সময় নারিন হাসতে হাসতে মাঠে গড়াগড়ি খেলেন। আবেশ খান, নিকোলাস পুরান, ডোয়েন ব্র্যাভো, পান্ত, রাসেল, নারিন মিলে প্রায় এক ঘণ্টা গল্প করলেন নাইটদের নেটের পাশে।
পান্তকে দেখলে মনেই হবে না তিনি এখনও পর্যন্ত আইপিএলের চারটি ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ১৯ রান করেছেন। ২৭ কোটির ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত ২৭ রানেও পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু অনুশীলনে তাঁর মধ্যে বাড়তি কোনও তাগিদই লক্ষ্য করা গেল না। নেটে ব্যাট করলেন না। উইকেটকিপিং অনুশীলনও করলেন না। শুধুমাত্র সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল খেললেন। তার পরে গল্পে মেতে উঠলেন বাকিদের সঙ্গে।