জিতলেই সব ভাল, আর হারলেই শুরু হয় অজুহাত খোঁজার পালা। ইডেন গার্ডেন্সে স্পিন সহায়ক পিচ চাই বলে বায়না জুড়েছিল নাইট রাইডার্স। কেন ঘরের মাঠে অর্ডার মতো উইকেট পাওয়া যাবে না তা নিয়ে বেশ চর্চা চলছে আইপিএল জুড়ে। বৃহস্পতিবার ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮০ রানে হারিয়ে ইডেনের পিচ নিয়েই স্বস্তিতে কেকেআর। ম্যাচ জেতার পরে এক গাল হাসি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আসেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। তাঁর চোখে-মুখে জেতার আনন্দ স্পষ্ট ফুটে উঠছিল।
ম্যাচ জিতে ২৩ কোটির নাইট তারকা পিচ নিয়ে খুশির কথা বললেও, পরক্ষণেই বলে বসলেন পিচ নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই। অর্থাৎ জিতলে তা টিমের জয়, হারলে দোষ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি আবার আবদার গোটা মরসুম যেন এমন পিচ থাকে। বেঙ্কটেশ বলেন, ‘এই পিচে জিতেছি। মরসুম জুড়ে এ রকম পিচ পেলে অবশ্যই ভাল লাগবে।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে পিচকে বেশি গুরুত্ব না দেওয়ারই চেষ্টা করি। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা উচিত। এই পরিবেশে আমাদের বোলাররা অসাধারণ বল করেছে। প্রত্যেকে পিচের ফায়দা তুলেছে। দল জেতায় আমি সত্যি খুশি।’
প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই ঘরের মাঠের সুবিধে অনুযায়ী পিচ তৈরি হচ্ছে। চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই স্পিন-সহায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসও স্পিন-নির্ভর দল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচে সুবিধে পান ব্যাটসম্যানেরা। বিরাট কোহলিদের জন্য আদর্শ পিচ তৈরি হয় সেখানে। বৃহস্পতিবার থেকে কেকেআরও কি তাদের পছন্দ মতো পিচ পেতে শুরু করল? প্রথম ইনিংসের বিরতির পরে বেঙ্কটেশই বলেছিলেন, ‘বল থমকে ব্যাটে আসছিল। শেষ কয়েক বছরে ইডেনে এমন পিচ দেখা যায়নি।’
হায়দরাবাদ ম্যাচের পরে আশা করাই যায়, আগামী ম্যাচগুলোতেও পিচ থেকে এমনই সাহায্য চাইবেন নাইট ক্রিকেটারেরা। নাইট অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে তো বলেই দিয়েছেন, ‘আমি খুব খুশি। ঘরের মাঠে আমাদের যে ধরনের সুবিধে প্রয়োজন, সেটা পাওয়াই উচিত। আমাদের শক্তি স্পিনার, সে রকমই বাইশ গজ আশা করি।’
এ দিনের পর থেকে পিচ নিয়ে চর্চা হয়তো কমবে। স্বস্তি পাবেন বেঙ্কটেশও। ২৩.৭৫ কোটি টাকায় তাঁকে কেকেআর নেওয়ার পরে বড় রান পাচ্ছিলেন না। ‘অর্থের চাপেই কি পাচ্ছেন না রান?’ বার বার এ ধরনের প্রশ্ন তাড়া করছিল তাঁকে। এ দিন ২৯ বলে ৬০ রানের ইনিংস উপহার দেন। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বার করে আনেন দলকে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বেঙ্কটেশ বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ দরের ক্রিকেটার মানেই প্রত্যেক ম্যাচে বড় রান করব, তা তো হয় না। তবে হ্যাঁ, চাপে অবশ্যই ছিলাম। এই ইনিংসের পরে কিছুটা স্বস্তিবোধ করছি।’