সাধারণভাবে কেএল রাহুলকে মাঠের মধ্যে তো বটেই, মাঠের বাইরেও খুব বেশি রেগে যেতে দেখা যায় না। তবে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পর মাঠে ব্যাট ঠুকে যে সেলিব্রেশন করতে দেখা গিয়েছিল তারকা উইকেটকিপার ব্যাটারকে। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
এই বিশেষ ধরণের সেলিব্রেশনের কারণ কী? সেটাই খোলসা করলেন রাহুল। কেএল রাহুলের এদিনের ইনিংস ছিল ধীরস্থির আগ্রাসন এবং চাপের মধ্যে শান্ত থাকার এক অসাধারণ উদাহরণ। তবে ম্যাচ-পরবর্তী মুহূর্তগুলোও ভক্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রাহুলের সেলিব্রেশন এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে, খেলোয়াড়দের মধ্যেও তা নিয়ে আলোচনা হয়। অস্ট্রেলিয়ার ও RCB-র ব্যাটার টিম ডেভিডকে দেখা যায় দিল্লির ফ্যাফ ডু প্লেসির সঙ্গে রাহুলের উদযাপন অনুকরণ করতে। তাদের কথোপকথনে স্পষ্ট ছিল—রাহুলের আবেগঘন মুহূর্ত সীমানা পেরিয়ে অন্যদের মধ্যেও দাগ কেটেছে।
ম্যাচের পরে রাহুল ব্যাখ্যা করেন এই সেলিব্রেশনের প্রেরণা কী। কেএল রাহুল জানান, এটি তাঁর প্রিয় সিনেমা ‘কান্তারা’ ছবির একটি দৃশ্য। সেখানে থেকেই তিনি এমন সেলিব্রেশন তকরার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। রাহুল বলেন, তিনি দর্শকদের বলতে চেয়েছেন, এটাই তাঁর মাঠ, এটাই তাঁর শিকড় এবং চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা সম্পর্কে তাঁর চেয়ে বেশি কেউ জানে না।
ম্যাচের পরে কেএল রাহুল বলেন, ‘এই জায়গাটা আমার জন্য খুব স্পেশাল। এই উদযাপনটা আমার প্রিয় সিনেমা ‘কান্তারা’ থেকে অনুপ্রাণিত। এটা শুধু একটা ছোট্ট মনে করিয়ে দেওয়া—এই মাঠ, এই ঘাস, এই ঘর আমার বেড়ে ওঠার জায়গা। এটা আমার জায়গা।’
রাহুল বলেন, চিন্নাস্বামীকে তিনি নিজের ঘর মনে করেন এবং যতটা সম্ভব আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন। কেএল রাহুল বলেন, ‘এই মাঠ আমার, এই ঘর আমার। আমি এটা অন্য যে কারও চেয়ে ভালো চিনি।’
কেএল রাহুল বলেন, ‘আমি জানতাম, আমার কোন শটগুলো কার্যকর হবে। শুরুতে ভালো শুরু পেতে চেয়েছিলাম, প্রথম থেকেই আগ্রাসী খেলতে চেয়েছিলাম, তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে চেয়েছিলাম। বড় ছক্কা মারার সময় কোন জায়গায় বল ফেললে সেটা সফল হবে, সেটাও আমার জানা ছিল।’