টস হেরে বিশাখাপত্তনমে প্রথমে ব্যাট করতে নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস। পাওয়ার প্লে-তে শুধু এইডেন মার্করামের উইকেট হারায়। তাতে অবশ্য দ্রুত রান তোলা আটকায়নি। ২১ বলেই ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা মিচেল মার্শ। অন্যদিকে তিনে নামা নিকোলাস পুরানও বিস্ফোরক মেজাজা শুরু করেন । ১৭ রানে তাঁর ক্যাচ ফেলেন সমীর রিজভি। যার পরের বলই তিনি মাঠের বাইরে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন। প্রথমে ব্যাট করে ২০৯ রান করে লখনউ।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থের উপর। এই দুই তারকা এ বার দল বদল করেছেন। প্রথম বার অধিনায়কত্ব করতে নামা অক্ষর প্য়াটেলের দিকেও নজর থাকবে। কিন্তু প্রথমেই ফোকাস কেড়ে নেন মিচেল মার্শ। তিনি ঝোড়ো ৩৬ বলে ৭২ করে আউট হলেও ঝড়ের হাওয়া বাড়িয়ে দেন নিকোলাস পুরান। এক ওভারে ৪ টা ৬ ও ১ টা ৪ মেরে খেলার টেম্পো বাড়িয়ে দেন। শেষ খবর লেখা পর্যন্ত তিনি মাত্র ২৯ বলে ৭৫ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে গিয়েছেন। আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর পাওয়া ঋষভ পন্ত যদিও ব্যর্থ হন। ২ অঙ্কের রানও তুলতে পারেননি তিনি। যদিও বাকিরা এদিন বড় রানের পথে নিয়ে যেতে কোনও সমস্যা হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে কুলদীপ যাদব, মিচেল স্টার্ক, মুকেশ কুমাররা রানে গতিতে ব্রেক আনেন।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের একাদশ: এইডেন মারক্রাম, মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরান, আয়ূষ বাদোনি, ঋষভ পন্থ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), ডেভিড মিলার, প্রিন্স যাদব, শাহবাজ আমেদ, শার্দুল ঠাকুর ও রবি বিষ্ণোই।
দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশ - জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, ফাফ ডুপ্লেসি, অভিষেক পোড়েল (উইকেটকিপার), সমীর রিজভি, অক্ষর পটেল (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, বিপ্রজ নিগম, মিচেল স্টার্ক, কুলদীপ যাদব, মোহিত শর্মা ও মুকেশ কুমার।