উল্টোদিকে হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন-নূর আহমেদ-মাথিশা পাথিরানাদের বিষাক্ত বোলিং। তাতেও কুছ পরোয়া নেই প্রিয়াংশ আর্যের। আইপিএল-এ এমন অনেক তারকারই জন্ম হয়। আর সেটাই আরও একবার দেখা গেল পঞ্জাব কিংস বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে। ৩৯ বলে এক দুধর্ষ শতরান উপহার দিলেন এই তরুণ। অল্পের জন্য আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান গড়ার রেকর্ড গড়তে পারলেন না। ২০১০ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩৭ বলে শতরান করা ইউসুফ পাঠানের রেকর্ড অল্পের জন্য রক্ষা পেল।
২০২৩-২৪ সালে দিল্লির হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলেই সবার নজর কাড়েন প্রিয়াংশ। সাত ম্যাচে ২২২ রান করেন। গড় ছিল ৩১.৭১। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৬.৯১। গত বছর আইপিএলের নিলামের জন্য তৈরি তালিকায় নাম থাকলেও অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন। ওই উপেক্ষা আর অবজ্ঞার জবাব দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে। দিল্লির প্রিমিয়ার লিগে সাউথ দিল্লি স্টারস্পোর্টজের হয়ে ৬০৮ রান করে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে নতুন করে চর্চায় এসেছিলেন। চলতি আইপিএলের নিলামে তাঁকে ৩.৮ কোটি টাকায় দলে নিয়েছিল পঞ্জাব কিংস।
রতন চিনতে যে ভুল করেননি পঞ্জাব কিংসের কর্তারা তা চলতি আইপিএলে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াংশ। এদিন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন তরুণ ব্যাটার। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে একের পর এক সতীর্থকে আয়ারাম-গয়ারামের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখেও ধৈর্য হারাননি প্রিয়াংশ। বরং নিজেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব নেন। ১৯ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। অর্ধশতরান পূর্ণের পরে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। চেন্নাইয়ের বাঘা-বাঘা বোলারদের বিরুদ্ধে খুনে মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। মাত্র ৩৯ বলেই সাতটি চার ও ৯টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে শতরান পূর্ণ করেন।
তার মধ্যে মাথিশা পাথিরানার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা বোলারের বিরুদ্ধে এক ওভারেই ২২ রান নেন। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ১০৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে যখন সাজঘরে ফিরলেন তখন গোটা স্টেডিয়ামের দর্শক দাঁড়িয়ে কুর্নিশ জানালেন নতুন তারকাকে।