আইপিএল পয়েন্ট তালিকায় অনেকটা উপরে উঠে এল কলকাতা। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে ছিলেন একদম তলানিতে। ঘরের মাঠে এ মরসুমের প্রথম ম্যাচ জিতেই সোজা প্রথম পাঁচে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, ৮০ রানে জিতে নেট রানরেটের দিক থেকেও অনেকটা ভাল জায়গায় নাইটরা।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে হেরে গিয়েছিল কলকাতা। সেখানকার পিচে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেনি তারা। ঘরের মাঠে ফিরতেই পছন্দের পিচ পেয়েছে কলকাতা। যে পিচকে কাজে লাগাতে পেরেছেন বরুণ চক্রবর্তীরা। বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতেও বেঙ্কটেশ আয়ারদের দাপট দেখল ইডেন। প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রান তোলেন তাঁরা। যে রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরুণদের দাপটে হায়দরাবাদ শেষ হয়ে যায় ১২০ রানে। এই জয় কলকাতার নেট রানরেটও অনেকটা ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।
কলকাতার বিরুদ্ধে হেরে হায়দরাবাদ সকলের নীচে নেমে গিয়েছে। পয়েন্ট তালিকায় তারা ১০ নম্বরে। হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখনও পর্যন্ত ২ পয়েন্ট করে পেয়েছে।
লিগ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। তারা এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি। চার পয়েন্ট পেয়েছে তারা। একই সংখ্যক পয়েন্ট পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, গুজরাত টাইটান্স এবং কলকাতা। নেট রানরেটের কারণে শীর্ষে পঞ্জাব, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি। তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু, গুজরাত এবং কলকাতা।
২৩.৭৫ কোটি টাকায় তাঁকে কেকেআর নেওয়ার পরে বড় রান পাচ্ছিলেন না। ‘অর্থের চাপেই কি পাচ্ছেন না রান?’ বার বার এ ধরনের প্রশ্ন তাড়া করছিল তাঁকে। এ দিন ২৯ বলে ৬০ রানের ইনিংস উপহার দেন। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বার করে আনেন দলকে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বেঙ্কটেশ বলেন, ‘দলের সর্বোচ্চ দরের ক্রিকেটার মানেই প্রত্যেক ম্যাচে বড় রান করব, তা তো হয় না। তবে হ্যাঁ, চাপে অবশ্যই ছিলাম। এই ইনিংসের পরে কিছুটা স্বস্তিবোধ করছি।’