শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ইরফান পাঠানের সম্পর্কের কথা প্রায় সকলেরই জানা। দুই তারকাই এখন ক্রিকেট ঠেকে অবসর নিয়েছেন। তবে সেই সমস্ত ঘটনা ভুলে যাননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। সে কারণেই বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় পাঠানের বলে আফ্রিদির আউট হওয়ার ভিডিও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ বার ভারতীয় অলরাউন্ডারের বলে আউট হয়েছেন আফ্রিদি।
কী নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত?
২০০৬ সালে ভারতের পাকিস্তান সফরের সময়, যখন দুই দল করাচি থেকে লাহোর বিমানে যাচ্ছিল, তখন পাঠান এবং আফ্রিদির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আব্দুল রাজ্জাকের সঙ্গে সে সময় বসেছিলেন ইরফান। আর বসে থাকতে থাকতেই গল্প করতে করতে পাক ক্রিকেটারকে পাঠান জিজ্ঞাসা করেন, 'ওখানে কী কী ধরণের মাংস পাওয়া যায়?' বিভিন্ন ধরণের মাংসের কথা জানান রাজ্জাক।
মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন পাঠান
এরপর পাঠান বলেন, 'আমি জিজ্ঞাসা করলাম কুকুরের মাংস পাওয়া যায় কিনা। আফ্রিদি ঠিক সেখানে বসে ছিলেন। রাজ্জাক এই কথা শুনে হতবাক হয়ে বললেন, 'আরে ইরফান, তুমি কেন এই কথা বলছো?'" ''আমি বললাম, 'সে (আফ্রিদি) কুকুরের মাংস খেয়েছে, অনেকক্ষণ ধরে ঘেউ ঘেউ করছে। এরপর আফ্রিদি কিছুই বলতে পারল না। সে যাই বলুক না কেন, আমি শুধু উত্তর দিতাম, 'দেখো, সে আবার ঘেউ ঘেউ করছে।' এর পর, সে পুরো ফ্লাইট জুড়ে চুপ করে রইল," পাঠান বলেন। "এই ঘটনা থেকে সে বুঝতে পেরেছিল যে সে আমার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে জিততে পারবে না। সেই কারণেই সে আর কখনও আমাকে কিছু বলেনি," তিনি আরও যোগ করেন।
সেই বছর করাচি টেস্টে হ্যাটট্রিক করা পাঠান তাঁর পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে পাকিস্তানকে সমস্যায় ফেলেছেন। ৬৭টি উইকেট এবং একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি মোট ৮০৭ রান করেছিলেন। তবে এখানেই থামেননি পাঠান। আরও একটা ঘটনার কথা উল্ল্যেখ করেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। তিনি জানান, 'মাঠের একটা ঘটনা বলি, আফ্রিদি এসে আমার মাথায় হাত রাখলেন, আমার চুল এলোমেলো করে দিলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'কেমন আছো, বাছা?' আমি বললাম, 'তুমি কবে থেকে আমার বাবা হয়েছো?'' এরপর পাঠান যোগ করেন, "আসলে শিশুসুলভ আচরণটা তারই ছিল। ও আমার বন্ধু ছিল না। এরপর আফ্রিদি আমাকে কিছু গালিগালাজ করে। তার সিটটা আমার সিটের ঠিক পাশেই ছিল।'