ICC-র নতুন চেয়ারম্যান হলেন জয় শাহ। গ্রেগ বার্কলে এই পদে ছিলেন। তাঁর চেয়ারে বসবেন জয় শাহ। আইসিসি চেয়ারম্যান পদের জন্য একমাত্র আবেদনকারী ছিলেন জয় শাহ। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন না হওয়ায় জয় শাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল মঙ্গলবার (২৭ অগাস্ট)।
বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ নভেম্বর। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই পদে রয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তৃতীয় মেয়াদের জন্য দৌড় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। তখনই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, জয় শাহ পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে পারেন। বার্কলে ২০২০ সালের নভেম্বরে আইসিসির স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ফের ২০২২ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, চেয়ারম্যান নির্বাচনের ১৬টি ভোট থাকে। এখন বিজয়ীর জন্য ৯টি ভোটের (৫১%) ভোটের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ তাহলেই খ্যাগরিষ্ঠতা মেলে। আগে চেয়ারম্যান হতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল।
ভারত থেকে এর আগে চার জন আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন। জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পওয়ার, এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহর। এরা প্রত্যেকেই বিসিসিআই থেকে আইসিসিতে গিয়েছিলেন। পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে চেয়ারম্যান হলেন শাহ। চলতি বছর ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন দায়িত্ব নেবেন তিনি।
জয় শাহকে আইসিসি বোর্ডের অন্যতম প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। তিনি বর্তমানে আইসিসির অর্থ ও বাণিজ্যিক বিষয়ক উপ-কমিটির প্রধান। ১৬টি ভোট যাঁদের হাতে রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে জয় শাহর। যদিও জয়ের বিসিসিআই সেক্রেটারি হিসাবে মেয়াদ শেষ হতে এখনও এক বছর বাকি। তারপর তাঁকে অক্টোবর ২০২৫ থেকে তিন বছরের বাধ্যতামূলক বিরতি বা কুলিং অফ পিরিয়ড) নিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত BCCI-এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একজন পদাধিকারী তিন বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডের আগে ছয় বছর অফিসে থাকতে পারেন। একজন ব্যক্তি মোট ১৮ বছরের জন্য (রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনে নয় বছর এবং বিসিসিআইতে নয় বছর) এই পদে থাকতে পারেন।
আইসিসির তরফে এই নিয়ে বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, 'জয় শাহ ICC-র পরবর্তী স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে তৃতীয় মেয়াদ না চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শাহ ছিলেন চেয়ারম্যান পদের জন্য একমাত্র মনোনীত হন।'