ফর্মে ফিরলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্ত। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন তিনি। করলেন সেঞ্চুরি। মাত্র ৬১ বল খেলে তুললেন ১১৮ রান। সেঞ্চুরিচর পর মাঠের মাঝেই দিলেন ডিগবাজি। এমন সেলিব্রেশন দেখে মুগ্ধ তাঁর ফ্য়ানরা।
যদিও প্লে অফের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। তার অন্যতম কারণ হিসেবে ঋষভের ফর্ম ও ক্যাপ্টেন্সিকে দায়ি করছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ২৭ কোটি টাকায় পন্তকে কিনেছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার LSG। আইপিএল-এর ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় তিনিই। অথচ টুর্নামেন্টে একদম ফর্মে ছিলেন না তিনি। তাঁর ব্যাট কথাই বলেনি। একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। কোনওদিন বোল্ড তো কোনওদিন ফুলটস বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন প্যাভলিয়নে। সেই মারমুখী ঋষভকে দেখা যায়নি গোটা টুর্নামেন্টে। পরিসংখ্যানও সেই কথায় বলে। বেঙ্গালুরর বিরুদ্ধে ১৪ তম ম্য়াচে নামার আগে পন্ত বাকি ১৩ ম্য়াচে ঋষভ তুলেছিলেন মাত্র ১৫১ রান। গড় ১৩-এর কাছাকাছি। স্ট্রাইক রেট ১০৭।
কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর ব্য়াট কথা বলল। অবশেষে ৬১ বলে ১১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১১টা চার ও ৮টা ছক্কা বেরিয়ে এল তাঁর ব্যাট থেকে। ব্যাট করতে নামার প্রথম থেকেই আজ ঋষভকে বেশ চাপমুক্ত দেখাচ্ছিল। হাত খুলে হিট মারছিলেন। প্রথম দিকে বেশ কয়েকটা বল বুঝে খেললেও পরের দিকে আর থামেননি। তাঁর যোগ্য সঙ্গ দেন মিচেল মার্শ। পরে নিকোলাস পুরানও ঋষভের সঙ্গে ভালো ব্যাটিং করেন।
সেঞ্চুরি করার পর ঋষভ সেলিব্রেশনও করলেন মন খুলে। মাঠের মধ্যে গ্লাভস, হেলমেট খুলে রেখে দাঁড়িয়ে ডিগবাজি দিলেন তিনি। এই জিগবাজি, শরীরি ভাষার মাধ্যমে যেন জবাব দিলেন সমালোচকদের। বলতে চাইলেন, 'আমি ফুরিয়ে যাইনি।' মার্শও এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেন। দুই ব্যাটারের দাপটে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করল লখনউ।