সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মনোজ তিওয়ারি। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেই এই বিষয়ে জানান বাংলার তারকা ক্রিকেটার। বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করেন তিনি।
বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই এগিয়ে এসেছিলেন মনোজ। তবে বাংলার হয়ে রঞ্জি জয়ের স্বপ্নপূরণ অধরাই থেকে গেল দাপুটে ব্যাটসম্যানের।
২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মনোজের। জাতীয় দলে শেষবার ২০১৫ সালে খেলেছিলেন তিনি।
মনোজ লিখেছেন, 'ক্রিকেটকে বিদায়। এই খেলাই আমাকে সবকিছু দিয়েছে। প্রতিটি জিনিস, যেগুলি আমি কখনও স্বপ্নেও পাব বলে ভাবিনি। এমন একটি সময় থেকে, যখন আমাদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। এই খেলা এবং ঈশ্বরের কাছে আমি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকব, যিনি সর্বদা আমার পাশে ছিলেন।'
এরপর কোচদেরও ধন্যবাদ জানান বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'শৈশব থেকে শুরু করে গত বছর পর্যন্ত আমার প্রত্যেক কোচকে ধন্যবাদ।'
২০০৭-০৮ সালে কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অভিষেক। পরে ২০১১ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য তাঁকে যুবরাজ সিংয়ের জায়গায় ভারতীয় দলে যোগ করা হয়। যুবরাজ সিং সেই সময়ে অসুস্থতার কারণে খেলছিলেন না।
এর পরে অক্টোবরে ইংল্যান্ডের ভারত সফরের জন্য তাঁকে বাছাই করা হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ODI-এর টিমে খেলার সুযোগ পান মনোজ। তিনি চেন্নাইতে পঞ্চম ODI খেলেন। সেই ম্যাচের প্রথম ওভারে ভারতের মাত্র ১ রানে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। মনোজ তিওয়ারি এরপরে ১০৪ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ক্র্যাম্প থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত ভারত ৩৪ রানে সেই ম্যাচ জিতেছিল। ম্যাচ জেতানোর জন্য তাঁকে ম্যান-অফ-দ্য-ম্যাচ দেওয়া হয়। তবে এই অপরাজিত সেঞ্চুরির পরেও, পরের ১৪টি ম্যাচে রিজার্ভে বসানো হয়েছিল মনোজকে।
২০২১ সালে, তিনি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বছরের শেষের দিকে বিধানসভায় নির্বাচিত হন। বর্তমানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী তিনি।