
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৫ জনের দলেও জায়গা হল না ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামির। রঞ্জিতে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরেও দল থেকে বাদ পড়েতে হল। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া এ দলের তালিকা থেকেও শামির নাম বাদ গিয়েছে। এর আগে নির্বাচকদের বিরুদ্ধে বিষদ্গার করে আলোচনায় এসেছিলেন বাংলার তারকা। সে কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত?
শামি সম্প্রতি তিনটি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি সাত উইকেট নিয়েছিলেন এবং উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন, যে ম্যাচে বাংলা আট উইকেটে জিতেছিল। গুজরাতের বিপক্ষে বাংলার প্রথম রঞ্জি ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেষ দিনে, তিনি পাঁচ উইকেটের একটি মারাত্মক স্পেল করেছিলেন, মিডল অর্ডার ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে তিনি ভারতের সেরা লাল বলের বোলারদের একজন। সম্প্রতি সমাপ্ত ত্রিপুরার বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে, শামি একটিও উইকেট নিতে ব্যর্থ হলেও ২৫ ওভার বল করে প্রমাণ করেছেন যে তিনি দীর্ঘ স্পেল করতে পারেন।
কিন্তু অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই নির্বাচন কমিটি যেভাবে শামির সঙ্গে 'দ্বিচারিতা' করে চলেছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এ-এর বিপক্ষে সম্প্রতি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ১৭ এবং ৯০ রান করে ঋষভ পন্তও দলে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে শামিকে তার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স সত্ত্বেও রাখা হয়নি।
গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর শামির বক্তব্য নিয়ে ঝড় উঠেছিল। ম্যাচের পর শামি পরিস্কার ভাবেই নিজেকে ফিট এবং প্রস্তুত বলে ঘোষণা করে দেন। তিনি আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন যে প্রতিটি খেলোয়াড়ই তাদের দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে। শামি আরও বলেন, 'আমি আবারও প্রস্তুত। আমার লক্ষ্য ফিট থাকা এবং পারফর্ম করা চালিয়ে যাওয়া; বাকিটা নির্বাচকদের উপর নির্ভর করে।'
তবে, নির্বাচকরা আবারও শামিকে তার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স সত্ত্বেও দলে সুযোগ দেননি। শামি শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। উত্তরাখন্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে শামির সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কথা বলতে দেখা যায় জাতীয় দলের অন্যতম নির্বাচক আরপি সিংকে। সে সময় ফের আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন বাংলার ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে সেই আশাতেও জল ঢেলে দিলেন নির্বাচকরাই।