২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল নামিবিয়া ও জিম্বাবোয়ে। হারারেতে অনুষ্ঠিত আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের ফাইনালে পৌঁছে এই দুই দেশ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে। এই মেগা টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
প্রথম সেমিফাইনালে তানজানিয়াকে ৬৩ রানে হারিয়ে টানা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নামিবিয়া। এক পর্যায়ে নামিবিয়া ৪ উইকেটে ৪১ রানে ছিল, কিন্তু অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস (৫৫) এবং জেজে স্মিথের (৬১)* ৮৮ রানের জুটি নামিবিয়াকে ১৭৪/৬ এ পৌঁছতে সাহায্য করে। এরপর স্মিথ বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন, ৩ উইকেট নেন। তানজানিয়া ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১১ রানে গুটিয়ে যায়।
এদিকে, জিম্বাবোয়ে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেনি। কিন্তু এবার তারা দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের মাধ্যমে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। জিম্বাবোয়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কেনিয়াকে সাত উইকেটে হারিয়ে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। কেনিয়ার অধিনায়ক ধীরেন গোন্ডারিয়া টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ, কেনিয়া ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৩ রান করতে পারে। জবাবে জিম্বাবোয়ে পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই রান তুলে ফেলে। ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ২৫ বলে ৫১ রান করেন।
নামিবিয়া এবং জিম্বাবোয়ে যথাক্রমে ১৬তম এবং ১৭তম দল, যারা ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০টি দলের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে, যার অর্থ এখন মাত্র তিনটি স্থান বাকি। ৮-১৭ অক্টোবর পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক বাছাইপর্বের মাধ্যমে এই তিনটি স্থান নির্ধারণ করা হবে। এই বাছাইপর্বে নয়টি দল অংশগ্রহণ করছে-পাপুয়া নিউ গিনি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া, নেপাল, জাপান, ওমান, সামোয়া, কাতার এবং কুয়েত। জিম্বাবোয়ে এবং নামিবিয়া ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইতালি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।