
বৃহস্পতিবার মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫-এর সেমিফাইনালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছে। আর এই ম্যাচে হাতে কালো ব্যান্ড পরে নামলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। এখন প্রশ্ন হল, কেন হঠাৎ কালো আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে নামলেন দুই দলের প্লেয়াররা?
তাহলে শুনুন, ১৭ বছরের এক অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বেন অস্টিন নেটে ব্যাট করার সময় প্রাণ হারায়। আর সেই ঘটনায় চমকে ওঠে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। আর তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে হাতে আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে নামলেন দুই দলের মহিলা ক্রিকেটাররা।
ও দিকে বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকেও বেন অস্টিনকে সম্মান জানান হয়। পাশাপাশি ফ্যানেরাও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
বোলিং মেশিনের জন্য প্রাণ যায়
যতদূর খবর, মঙ্গলবার ১৭ বছরের বেন ব্যাটিং অনুশীলন করছিল মেলবোর্নের ফেরান্টি গালির ওয়ালি টু রিসার্ভের মাঠে। মূলত বোলিং মেশিনের সামনে দাঁড়িয়েই চলছিল প্র্যাকটিস। তখনই একটি বল মাথা এবং ঘাড়ে এসে লাগে। মাথায় হেলমেট থাকার পরও গুরুতর চোট লাগে তার।
এমন পরিস্থিতি দ্রুত বেনের কাছে যায় মেডিক্যাল টিম। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মোনাশ মেডিক্যাল সেন্টারে। চিকিৎসকেরা তার প্রাণ বাঁচানোর সব প্রচেষ্টাই করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রাণ হারায় বেন।
বৃহস্পতিবার ফার্নট্রি গালি ক্রিকেট ক্লাব, যেই দলে বেন খেলত, তারা তার মৃত্যুর খবরটা দেয়। পাশাপাশি জানায় শ্রদ্ধা। এর কিছু ঘণ্টার মধ্যেই বেনের স্মৃতিতে ফুল, কার্ড, মিষ্টি, জলের বোতল এবং ক্রিকেট ব্যাট ক্লাবে রাখা হয় বেনের শ্রদ্ধার্ঘে।
ও দিকে সুস্থ হয়ে উঠছেন শ্রেয়স
ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়ার শেষ ওডিআই ম্যাচে গুরুতর চোট পান শ্রেয়স আইয়ার। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। আর সেই খবর জানার পরই ফ্যানেদের উদ্বেগ বাড়ছিল।
জানা যায়, পাঁজরের তলায় প্লীহাতে আঘাত লেগেছিল শ্রেয়সের। হচ্ছিল রক্তক্ষরণ। তাই চিন্তা একটু ছিলই। যদিও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন শ্রেয়স বলেই খবর। এমনকী নিজের সুস্থতা নিয়ে তিনি আজ এক্স-এও জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, 'আমি বর্তমানে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। প্রতিদিন সুস্থ হচ্ছি। আমি যে ধরনের শুভেচ্ছা এবং সমর্থন পেয়েছি তা দেখে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এর সত্যিকার অর্থ অনেক। আপনাদের মনে আমাকে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।' অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট। ভালো হয়ে উঠছেন শ্রেয়স।