
একটা সময় ক্রিকেট কিট কেনার টাকা ছিল না। সেই টাকা জোগার করতে বাড়ি বাড়ি দুধের বিক্রি করতেন। রোহিত শর্মাকে নিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছেন তাঁর এক সময়কার সতীর্থ প্রজ্ঞান ওঝা। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই একে অপরকে খুব ভালভাবে চিনতেন রোহিত ও প্রজ্ঞান। পরে ২০০৮ সালে ডেকান চার্জারসের দুই তারকাই একসঙ্গে খেলেন।
প্রজ্ঞান বলেছিলেন, 'রোহিত একেবারে সাধারণ-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। ও নিজেই একবার জানিয়েছিল যে ক্রিকেট কিট কেনার মতো টাকা জোগাড় করতে পারেনি। কথাটা বলতে বলতে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। আর এই ক্রিকেট কিট কেনার জন্য ওকে দুধ পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছিল। যদিও এটা অনেকদিন আগেকার কথা। আজ যখন আমি রোহিতের দিকে আমি তাকাই, তখন ওকে দেখে আমার সত্যিই গর্ব হয়।'
'যখন আমি প্রথম অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় শিবিরে রোহিতের সঙ্গে দেখা করি, তখন সবাই বলেছিল সে খুব স্পেশাল একজন খেলোয়াড়। সেখানে আমি ওর বিরুদ্ধে খেলেছি এবং ওর উইকেটও নিয়েছি। রোহিত একজন সাধারণ বোম্বে লোক ছিল যে খুব বেশি কথা বলত না কিন্তু খেলার সময় আক্রমণাত্মক ছিল। আসলে, আমি খুব অবাক হয়েছিলাম যে কেন সে আমার সঙ্গে কেন এত আক্রমণাত্মক আচরণ করছিল যখন আমরা একে অপরকে চিনতামও না! কিন্তু তার পরে আমাদের বন্ধুত্ব আরও বাড়তে শুরু করে।' জিও সিনেমাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওঝা স্মরণ করেন।
২০০৭ সালে সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিত শর্মা ভারতের হয়ে অভিষেক করেন, অসাধারণ খেলোয়াড় হলেও শুরুটা বেশ সমস্যার ছিল। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুম্বই ব্যাটসম্যানের উজ্জ্বল পারফর্মেন্সের মাধ্যমে রোহিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগিয়ে যান, যা ছিল সর্বোচ্চ স্তরে তার প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। রোহিত ৪ ম্যাচে ৮৮ রান করেছিলেন, যার মধ্যে এমএস ধোনির জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রানও ছিল।
রোহিত ওয়ানডে দলে নিজের জায়গা পাকা করতে লড়াই করেছিলেন কিন্তু ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে ইনিংস শুরু করার পর তার ক্যারিয়ার বদলে যায়। রোহিত ৯৮২৫ রান করেছেন, যার মধ্যে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে ৩০টি সেঞ্চুরি রয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে তার অসাধারণ পারফর্মেন্স এবং টেস্ট ওপেনার হিসেবে শেষ পর্যন্ত তার সাফল্যের সঙ্গে।