রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জিতেছিল। সেই দলে অংশ ছিলেন বিরাট কোহলিও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলির শতরান দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিল।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ভক্তরা অনেক দিন ধরেই রয়েছেন। রোহিত-কোহলি (ROKO) শেষবার খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫–এ। এবার এই দুই দিগ্গজ অস্ট্রেলিয়া সফরের মাধ্যমে মাঠে ফিরতে পারেন।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার ও সাবেক প্রধান নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত মনে করেন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি ভারতের ওয়ানডে দলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে দুই খেলোয়াড়কেই ছন্দ ধরে রাখতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। আইপিএল ২০২৫–এর পর থেকেই রোহিত ও কোহলি মাঠের বাইরে ছিলেন, তবে এবার তাঁরা অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এর মধ্যেই তাঁদের অবসরের জল্পনা ছড়িয়েছিল এবং বলা হচ্ছিল যে অস্ট্রেলিয়া সফর হয়তো তাঁদের শেষ সিরিজ হতে পারে। তবে এখন সেই গুঞ্জনে ইতি পড়েছে।
১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শ্রীকান্ত তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, “রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি সুপারস্টার। আমার দৃষ্টিতে তাঁরা অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য অটোমেটিক চয়েস। আমি যদি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হতাম, তাহলে রোহিত শর্মাকেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের অধিনায়ক করতাম। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে সব জল্পনা চলছে তা ঠিক নয়। তাঁদের অবশ্যই খেলা উচিত।”
আগরকারের নিশ্চয়ই কথা হয়েছে দু’জনের সঙ্গে: শ্রীকান্ত
শ্রীকান্ত মনে করেন, প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকার নিশ্চয়ই রোহিত ও কোহলির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শ্রীকান্ত বলেন, “টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁদের বলবে যে বিজয় হাজারে ট্রফির মতো টুর্নামেন্ট খেলো, যাতে ম্যাচ প্র্যাকটিস হয় এবং ছন্দ ফিরে আসে। এটা তাঁদের এবং দলের জন্য ভালো হবে।”
তিনি আরও যোগ করেছেন যে দুই খেলোয়াড়ের লক্ষ্য ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা, সেই কারণেই তাঁরা নিজেদের প্রাপ্যতা জানিয়েছেন। শ্রীকান্ত বলেছেন, “বিরাট কোহলির মতো একজন খেলোয়াড়, যিনি ভারতের জন্য এত অবদান রেখেছেন, তাঁর প্রতি বাড়তি সম্মান ও সুযোগ দেওয়াই উচিত।”
শ্রীকান্ত বলেন, “কোহলি ইংল্যান্ডে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং রোহিত এনসিএ–তে অনুশীলন করছে। দু’জনেই জানিয়েছেন যে তাঁরা ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে চান এবং ভারতকে জেতাতে চান। তাই আমি অবশ্যই তাঁদের সুযোগ দেব।” ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১৯ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত খেলা হবে। খুব শিগগিরই দলের ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।