ভারতের মাটিতে রোহিতদের চুনকাম করল নিউজিল্যান্ড। সিরিজ শুরুর আগে এমনটা যে হবে, তা অতি বড় সমালোচকও ভাবতে পারেননি। কয়েক দশক ধরে ভারতকে ভারতের মাটিতেই হারানো দুঃসাধ্য! সাধে কি স্টিভ ওয় বলেছিলেন দ্য লাস্ট ফ্রন্টিয়ার! আপামর ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরেরও প্রশ্ন, ভুলটা ঠিক কোথায় হল? রোহিতরা 'গুরুত্ব' দিতে না চাইলেও ফল নিয়ে কাটাছেঁড়ার দরকার আছে বলে অভিমত লিটল মাস্টারের। তুলে দিয়েছেন ৩টি প্রশ্ন।
ঠিক কী বলেছেন সচিন ? এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন,'দেশের মাটিতে ৩-০ হার হজম করা খুব কঠিন। এটা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ দরকার'। ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে তিনি যে হতাশ তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন। সচিনের প্রশ্ন,'প্রস্তুতি কি ছিল না? নাকি শট নির্বাচনের ভুলেই এই পরিণতি? অথবা পর্যাপ্ত ম্যাচ প্র্যাকটিস ছিল না?' আলাদা করে শুভমন গিল ও ঋষভ পন্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন,'দুই ইনিংসেই ঋষভের ফুটওয়ার্ক দেখে মনেই হচ্ছিল না এতটা কঠিন পিচে খেলা হচ্ছে। ও দুধর্ষ'।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসলে ভারতীয় ক্রিকেটের মৌচাকেই ঢিল মেরেছেন সচিন। টি২০ বিশ্বকাপ জয়, দেশের মাটিতে ৫০ ওভার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা বা বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে হারানোর পর মনে হচ্ছিল গোলাপের তোড়া। কিন্তু নিউজিল্যান্ড এসে সিলভার রাংতাই খুলে দিল। বেরিয়ে এল ভিতরের ঝাঁটাকাঠি। সচিন যে ৩ কারণ বলেছেন, তা কেন একদম যথাযথা?
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি জসপ্রীত বুমরারা রঞ্জি বা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন না। টি টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট-রোহিত। একদিনের দলেও নিয়মিত যান না। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন না। তার ফলে ম্য়াচ প্র্যাকটিস নেই। নিয়মিত খেললে ম্যাচ সিচুয়েশন বা পরিস্থিতি বুঝে খেলার মানসিকতা তৈরি হয়। টেস্ট খেলতে দরকার মনোযোগ। সেটার অভাবও পরিলক্ষিত হয়েছে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে। প্রণিধানযোগ্য,সচিন ও সৌরভ নিজেরাও যখনই সুযোগ পেতেন, রাজ্য দলের হয়ে খেলতে নামতেন। সৌরভের বাংলার হয়ে খেলেছেন। সচিন নামতেন মুম্বইয়ের জার্সিতে। সৌরভ রঞ্জি খেলেই ভারতীয় দলে কামব্যাক করেছিলেন।
সামনেই অস্ট্রেলিয়ায় ৫ ম্যাচের সিরিজ। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে কি বদল আসবে? অতঃকিম- অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে আইপিএল। নিন্দুকরা বলছেন, বিশ ওভারে খেলায় রোহিত-বিরাটরা চার-ছক্কা হাঁকাবেন, ক্রিকেটভক্তরা হোয়াইট ওয়াশের গ্লানি ভুলে যাবেন। এক্স হ্যান্ডেলেই থেকে যাবে সচিনের 'আত্মবিশ্লেষণ' পরামর্শ।