ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের বিপদ যেন কাটছে না। এবার তাঁর বাংলাদেশ ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়ের করা দুটো মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন। সাকিব ছাড়াও আরও ১৫ জনের উপর জারি হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে জানানো হয়, শাকিব এবং অন্যরা শেয়ার বাজার আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাঁরা নিয়ম না মেনে শেয়ার বাজারে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করে টাকা কামিয়েছেন। দুদকের দাবি, শাকিব-সহ অভিযুক্তরা বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ আইনের ২৪ (৩), ১৯ (১) ধারা লঙ্ঘন করেছেন এবং অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। মোট ৮.৯৭ ও ৪.৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ।
আদালতে পিটিশনার সাজ্জাদ হোসেন এবং মো. রোকনুজ্জামান সাকিবদের বিরুদ্ধে আবেদন দাখিল করেছিলেন। তাঁদের তরফেই শাকিবদের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন জানানো হয়। আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
গত বছরের অগাস্টে বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। সেই থেকে বিপাকে আওয়ামি লিগ সাংসদ ও নেতারা। ব্যতিক্রম নন শাকিবও। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচনে মাগুরা থেকে ভোটে লড়েছিলেন তিনি। জিতেওছিলেন। কিন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে শাকিবের উপর একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
অগাস্ট মাসেই শাকিবের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ৫ অগাস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তাঁর ছেলে মহম্মদ রুবেল। ছেলের মৃত্যুর জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, শাকিব-সহ মোট ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন রফিকুল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে বিপাকে বাংলাদেশের প্রাক্তন অলরাউন্ডার।