
শুক্রবার রাতে লখনউয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) কাছে ১২ রানে পরাজিত হয়েছে। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বই শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯১/৫-এ থেমে যায়। তবে এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয়েছে তিলক বর্মাকে (Tilak Varma) রিটায়ার্ড আউট করার সিদ্ধান্ত। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার তিলকের জায়গায় মিচেল স্যান্টনারের মতো একজন প্রধানত বোলারকে কেন মাঠে নামানো হল, তা নিয়েও তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল। সূর্যকুমার যাদব ৪৩ বলে ৬৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। নমন ধীরও ২৪ বলে ৪৬ রান করে দলকে ভাল জায়গায় রাখেন। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি বদলে যায়। ১৯তম ওভারে, যখন ৭ বলে ২৪ রান প্রয়োজন এবং ৬ উইকেট হাতে ছিল, তখন তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট করা হয়। তিলক তখন ২৩ বলে ২৫ রান করে ফেলেছিলেন, যার মধ্যে ছিল মাত্র দুটি চার। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৮.৭০, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ধীর গতির বলে বিবেচিত হয়।
তিলকের জায়গায় মিচেল স্যান্টনারকে মাঠে নামানো হয়, যিনি একজন অলরাউন্ডার হলেও মূলত বোলার হিসেবে পরিচিত। স্যান্টনার মাত্র একটি বল খেলার সুযোগ পান এবং ২ রান নেন। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া প্রথম বলে ছক্কা হাঁকালেও, আবেশ খানের নিখুঁত ইয়র্কারের সামনে মুম্বই হার মানতে বাধ্য হয়। ফলে এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হার্দিক ও কোচ কী বললেন?
ম্যাচ শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এই সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্ট’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কিছু বড় শট দরকার ছিল। তিলক সেটা খেলতে পারছিল না। ক্রিকেটে এমন কিছু দিন আসে যখন আপনি চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হন না। এটা একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল।' অন্যদিকে, মুম্বইয়ের প্রধান কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে সাংবাদিকদের বলেন, 'তিলক চেষ্টা করছিল, কিন্তু রানে ফিরতে পারছিল না। আমরা শেষ কয়েক ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, আশা করেছিলাম যে সে সময় পেয়ে বড় শট খেলবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার মনে হয়েছে একজন নতুন ব্যাটার দরকার। এটা করা সুন্দর নয়, কিন্তু কৌশলগতভাবে এটা করতে হয়েছে।'