Advertisement

Tino Best : ৫০০-রও বেশি মহিলার সঙ্গে রাত্রিযাপন করেছেন এই ক্রিকেটার, কোন দেশের মেয়েদের প্রতি ছিলেন বেশি দুর্বল?

ক্রিকেটের মাঠে সেভাবে সেভাবে নাম-ডাক করতে না পারলেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শিরোনামে চলে এসেছিলেন টিনো। আত্মজীবনী 'মাইন্ড দ্য উইন্ডোজ: মাই স্টোরি' তে দাবি করেছেন, ৫০০ জনেরও বেশি মহিলাকে শয্যাসঙ্গিনী করেছিলেন।

Tino BestTino Best
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 10 Jun 2025,
  • अपडेटेड 10:18 PM IST
  • ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শিরোনামে চলে এসেছিলেন টিনো বেস্ট
  • কারণ নারীসঙ্গ- নিজের একথা জানিয়েছিলেন ওই ক্রিকেটার

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। এই বাক্য বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গ্যারি সোবার্স, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার, কার্টলি অ্যামব্রোস, অ্যান্ডি রবার্টস, ব্রায়ান লারার মতো খেলোয়াড়দের মুখ। ১৯৭০-১৯৯০ এই কুড়ি বছরকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তবে ধীরে ধীরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের গ্রাফ অনেক নিচে নেমে যায়। অনেক ফাস্ট বোলার দলে আসেন ঠিকই তবে তাঁদের বেশিরভাগজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেভাবে ছাপ রাখতে পারেননি। 

টিনো বেস্ট এমনই এক বোলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পরপরই দারুণ শুরু করলেও ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। এক সময় তো তাঁকে কিংবদন্তি বোলার ওয়েস হলের সঙ্গে তুলনাও করা হত। তাঁর বলের স্পিড ছিল নজরকাড়া। যদিও ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির বেস্ট খুব তাড়াতাড়ি হারিয়ে যান। দলের হয়ে মাত্র ৫৭টি ম্যাচই খেলতে পেরেছিলেন তিনি।

ক্রিকেটের মাঠে সেভাবে সেভাবে নাম-ডাক করতে না পারলেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শিরোনামে চলে এসেছিলেন টিনো। আত্মজীবনী 'মাইন্ড দ্য উইন্ডোজ: মাই স্টোরি' তে দাবি করেছেন, ৫০০ জনেরও বেশি মহিলাকে শয্যাসঙ্গিনী করেছিলেন। যদিও বেস্ট দাবি করেছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কখনও খেলায় প্রভাব ফেলেনি। তিনি খুব পরিশ্রমী ছিলেন। মাঠেও একশো শতাংশ দিতেন। তবে এই বই মুক্তি পাওয়ার পর বিতর্ক শুরু হয় তাঁকে নিয়ে। 

আরও পড়ুন

টিনো বেস্ট আত্মজীবনীতে লেখেন, 'আমি মহিলাদের পছন্দ করি। তাঁরাও আমাকে ভালোবেসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর টাকওয়ালা পুরুষ আমি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে যে দেশেই গিয়েছি, মহিলাদের সঙ্গে ডেট করেছি। বিছানা শেয়ার করেছি। সারা বিশ্বের ৫০০ থেকে ৬৫০ জন মেয়ের সঙ্গে রাত্রিযাপন করেছি।' 

টিনো বেস্ট জানান, প্রথম প্রেমে বিচ্ছেদের পর তিনি প্লেবয় হয়ে উঠেছিলেন। লিখেছেন, 'আমার প্রথম প্রেম মেলিসার তামানি। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আমি নিজেকে সেভাবে সামলাতে পারিনি। একজন প্লেবয় হয়ে গিয়েছিলাম। কাউকে পছন্দ হলেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতাম। মেয়েরাও আমাকে ভালোবাসত। আমি সেই সব দিন উপভোগ করেছি।'

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ান মহিলারা তাঁকে সবথেকে বেশি আকৃষ্ট করত বলেও দাবি করেন টিনো। বইয়ে লিখেছেন,'সবচেয়ে সুন্দর মেয়েরা অস্ট্রেলিয়ান।  সেই দেশের মেয়েরা ফিট। শরীরের দিকে বিশেষ নজর দেন। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় ৪০ জনেরও বেশি মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।' 

২০০৩ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় টিনোর। সেই ম্যাচে কোনও উইকেট নিতে পারেননি। ফলে দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (CWI) আর তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি। তখন তিনি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে নাম লেখান। 

তবে, পরের বছর টিনো অপ্রত্যাশিতভাবে জাতীয় দলে ফিরে আসেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১২ উইকেট নেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি তিনি খেলেন ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

টিনো বেস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৫টি টেস্ট, ২৬টি ওয়ানডে এবং ৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট ম্যাচে বেস্ট ৪০.১৯ গড়ে ৫৭টি উইকেট নিয়েছেন। ওয়ানডে-তে তাঁর নামে ৩৪টি উইকেট রয়েছে। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ৬টি উইকেট নিয়েছেন। 

তবে, টিনো বেস্টের ব্যাটিংয়ে একটি বিশেষ রেকর্ড রয়েছে। ২০১২ সালে বার্মিংহাম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১ নম্বরে ব্যাট করে ৯৫ রান করেছিলেন বেস্ট। সেই সময় টেস্ট ক্রিকেটে এটি ছিল ১১ নম্বরে ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। 

Read more!
Advertisement
Advertisement