তাঁর বাবা ক্রিকেট ঈশ্বর। ভাই খেলছেন আইপিএল-এ। বরাবরই ক্রিকেট থেকে দূরে শচীনকন্যা সারা। কেবল ক্রিকেট নয়, কোনো খেলাধূলাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেননি। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? উল্টে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এখন অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন দফতরের সঙ্গে কাজ করছেন সারা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দারুণ রেকর্ড রয়েছে সচিনের। কেরিয়ারে ৬টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সেই দেশের পর্যটন দূত হতে পেরে দারুণ খুশি সারা। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী সারা বলেন, 'আমরা খুব কমই বাবাকে দেখতে পেতাম কারণ তিনি সবসময় ক্রিকেট সফরে থাকতেন। কিন্তু যখন আমরা অস্ট্রেলিয়া যেতাম, তখন আমরা খুব খুশি হতাম। সেখানে বাবার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলি আমাদের জন্য মূল্যবান ছিল। সিডনিতে পুরো দলের সাথে নৌকায় নববর্ষের রাত কাটানোর সেই মুহূর্তটি আমি কখনই ভুলতে পারব না।'
কেন ক্রিকেটার হলেন না সারা?
ক্রিকেটের সূত্রে অস্ট্রেলিয়াকে চিনেছেন। কিন্তু নিজে ক্রিকেটার হলেন না কেন? সেই প্রশ্নের জবাবে সারার সাফ বক্তব্য, 'আমি খেলাধুলো নিয়ে কোনোদিন ভাবিইনি। ক্রিকেট এবং অন্যান্য খেলায় বরাবর আমার ভাই দক্ষ ছিল। আমি মাঝেসাঝে গলি ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু ক্রিকেটকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা ভাবিনি কখনও।'
সারার জন্য সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত কোনটা?
সারা, বাবার অনেক ঐতিহাসিক ইনিংস দেখেছেন, কিন্তু যে ইনিংসটি তার হৃদয়ে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে তা হল ২০১৩ সালে অবসরের ম্যাচ। সারা বলেন, 'তখন আমার বয়স অল্প ছিল, তাই বুঝতে পারতাম না যে আমার বাবার ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ কী। ছোটবেলায় আমি ম্যাচ দেখতে যেতাম, কিন্তু তাদের আসল গুরুত্ব বুঝতে পারতাম না।' সারা বিশ্বাস করেন যে তার বাবার শিক্ষা সবসময় তাকে পথ দেখিয়েছে। বাবা সবসময় বলেন, 'স্বাধীনতা পেলে, দায়িত্ব পালন করতে শিখতে হবে। কলেজে পড়ার পর থেকেই আমি এটাকে আমার জীবনের একটি অংশ করে ফেলেছি।'
বাঁহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০২০ মরসুমে মুম্বইয়ের হয়ে তার ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও খেলেছেন অর্জুন। বর্তমানে মিডিয়াম পেস বোলার হিসাবেই খেলেন। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স স্কোয়াডে রয়েছেন। তবে প্রথম একাদশে তাঁকে নিয়মিত দেখা যায় না।