ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন কপিল দেবের মাথায় গুলি করতে চেয়েছিলেন যোগরাজ সিং? সিক্সার কিং যুবরাজ সিংয়ের বাবা এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার যোগরাজ সিং এমন ঘটনার কথাই জানিয়েছেন। যা ক্রিকেট ভক্ত এবং অভিজ্ঞদেরও অবাক করেছে। শুধু তাই নয়, কপিল দেবকে মারতে তাঁর বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন যোগরাজ।
যুবরাজের বাবার সঙ্গে কপিলের সম্পর্ক কখনই সমধুর ছিল না। আশির দশকে টিম ইন্ডিয়ায় নিয়মিতভাবে জায়গা না পাওয়ার জন্য কপিল দেবকে একাধিকবার দায়ী করেছেন যোগরাজ। এমনকি বিস্ফোরকভাবে এর আগে বলেছিলেন, যুবরাজের জন্মের সময়েই কপিলের ওপরে প্রতিশোধ নেওয়ার স্পৃহা জন্মেছিল ওঁর। এখন 'যুবরাজের ১৩ ট্রফি, কপিলের ১ ট্রফি' মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করলেন যোগরাজ। এমনটাই মনে করছে ক্রিকেট মহল।
কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভারতীয় দলকে ১৯৮৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। যোগরাজ তাঁকে নিয়ে বহুবার বড় বড় বিবৃতি দিয়েছেন। যোগরাজ Unfiltered by Samdish-এর অনুষ্ঠানে এসে বলেন- কপিল দেব যখন ভারত, উত্তর অঞ্চল এবং হরিয়ানার অধিনায়ক হন, তখন তিনি আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই দল থেকে বাদ দেন। 'স্ত্রী (যুবরাজের মা) চেয়েছিল, আমি কপিলের কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করি। আমি বললাম এই লোকটাকে আমি শিক্ষা দেব। আমি আমার পিস্তল বের করে সেক্টর ৭-এ কপিলের বাড়িতে গেলাম।'
যখন যোগরাজ কপিলের বাড়িতে আসেন তখন মায়ের সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার। এই ঘটনার কথা স্মরণ করে যোগরাজ বলেন, 'কপিল মায়ের সঙ্গে বেরিয়েছিল। আমি প্রচুর অভিশাপ দিয়েছি। তাকে বলেছি, তোমার এই সিদ্ধান্তের কারণে আমি একজন বন্ধুকে হারালাম। তুমি যা করেছ তার মূল্য দিতেই হবে।'
যোগরাজ আরও বলেন, 'আমি কপিলকে বলেছিলাম তোমার মাথায় গুলি করতে চাই, কিন্তু আমি তা করতে পারব না কারণ তোমার একজন অত্যন্ত ধার্মিক মা আছেন। এরপর শবনমকে বলেছি, চলো এখান থেকে চলে যাই। সেই মুহূর্তটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি ক্রিকেট খেলব না। যুবি (যুবরাজ সিং) খেলবে।' তারপর থেকেই, যুবরাজকে ভারতীয় দলের জন্য তৈরি করতে থাকেন যোগরাজ।